করোনা ভ্যাকসিন পেতে রীতিমতো উত্তেজনা সৃষ্টি হল সংস্কৃতি লোকমঞ্চের টীকাকরণ ক্যাম্পে




করোনা ভ্যাকসিন পেতে রীতিমতো উত্তেজনা সৃষ্টি হল বৃহস্পতিবার বিকালে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বিশেষ চিহ্নিত শ্রেণীর জন্য কোভিড-১৯ টীকাকরণ ক্যাম্পে। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১৭ মার্চ থেকে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে শুরু হয়েছে বিশেষ চিহ্নিত শ্রেণির মানুষজনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিশেষ চিহ্নিত শ্রেণী অর্থাৎ বিভাগ ২ অনুযায়ী সুপার-স্প্রেডার গোষ্ঠী যাঁরা বাধ্য হয়ে জনগণের কাছাকাছি যাচ্ছেন, যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে বাধ্য হচ্ছেন এবং যাঁরা সম্ভাব্য স্প্রেডার তাঁদের ক্ষেত্রে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই ২ নম্বর বিভাগে হকারদেরও টীকা করণের কথা জানানো হয়। বর্ধমানে প্রাথমিক ভাবে শুরু হয়েছে হকার, পরিবহন কর্মী এবং সাংবাদিকদের টীকাকরণ কর্মসূচী। 


শুক্রবার এই বিভাগের হকারদের টীকাকরণ নিয়ে তৈরী হল বিশৃঙ্খলা। টীকা নিতে আসা হকারদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক ইউনিয়ন আই এন টি টি ইউ সি-র অনুমোদন নিয়ে এদিন টীকা নিতে এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখছেন তাঁদের টীকা দেওয়া হচ্ছে না। বর্ধমান পুরসভা থেকে ফোন করে যে সমস্ত হকারদের টীকা নিতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে তাঁদেরই টীকা দেওয়া হচ্ছে। আর এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আই এন টি টি ইউ সি-র অনুমোদন নিয়ে টীকা নিতে আসা হকাররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এসে পৌছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। 


জানা গেছে, বর্ধমান পুরসভা তাঁদের কাছে থাকা হকারদের তালিকা থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক হকারদের ফোন করে টীকা নিতে যেতে বলছেন। পাশাপাশি শ্রমিক ইউনিয়নও হকারদের আধার কার্ডের জেরক্স কপিতে টীকা দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে হকারদের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পাঠাচ্ছেন। আর তাতেই তৈরী হচ্ছে গন্ডগোল। প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ টীকা নিতে চলে আসছেন। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের। 


যদিও দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, ইউনিয়নের অনুমোদন নিয়ে আসা হকারদের অনেককেই টীকা দেওয়া হয়েছে। মাঝে কিছু সময় শুধুমাত্র পুরসভা থেকে পাঠানো হকারদেরই টীকা দেওয়া হয়েছে।