আশীর্বাদ আটা উইথ মাল্টিগ্রেনস লঞ্চ করল অনলাইন ডাইজেস্টিভ কোশেন্ট (DQ) টেস্ট
কলকাতা, 27 মে ২০২১: আগামী ২৯ মে ওয়ার্ল্ড ডাইজেস্টিভ হেল্থ ডে। ভারতের ১ নং. প্যাকেজড আটা ব্র্যান্ডের একটি সমৃদ্ধ ভ্যারিয়েন্ট, আশীর্বাদ আটা উইথ মাল্টিগ্রেনস তাই পাচন স্বাস্থ্য নিয়ে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করিয়েছিল। মায়েদের জন্য তৈরি ভারতের অগ্রণী ব্লগ সাইট, মমস্প্রেসো দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং চেন্নাইয়ে থাকা ৫৩৮ জন মা-কে নিয়ে এই সমীক্ষা চালায়। ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কেউ ব্যবসায়ী, কেউ উদ্যোগপতি, কেউ চাকরিজীবী অথবা গৃহবধূ।
সমীক্ষার ফলাফলে ক্রেতাদের জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের ছবি ধরা পড়েছে। সমীক্ষাটির ফল অনুযায়ী ৭৭ শতাংশ ভারতীয় মায়েরা পাচন স্বাস্থ্যকে খুবই গুরুত্ব দেন। ৫৬ শতাংশ মায়েরা মনে করেন তাদের পরিবারের সদস্যদের হজমের সমস্যা আছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ৫০ শতাংশের বেশি ভারতীয় পরিবারই ২ থেকে ৩টি হজমসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে। প্রধান ৩টি সমস্যা হল গ্যাস, অম্বল এবং বদহজম। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশের বেশি এর যে কোনও একটিতে ভোগেন।
৫০ শতাংশের বেশি জন মনে করেন হজমের গণ্ডগোল তাদের ওজনের সমস্যা, কর্মক্ষমতায় প্রভাব ফেলে এবং পেটের ভিতর একটা অস্বস্তি হতে থাকে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪০ শতাংশের মতে তাদের এবং তাদের পরিবারের পেটের স্বাস্থ্য ‘দুর্বল’। যথাক্রমে তাদের স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন/ মা-বাবা এবং তাদের নিজেদের স্বাস্থ্যই সবচেয়ে প্রভাবিত। জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস ঠিকঠাক না হওয়াই এই সমস্যার মূলে। সকলের জীবনধারার মধ্যে যে বিষয়গুলির মিল রয়েছে, তা হল অনিয়মিত ঘুম, তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, ভাজা খাবার খাওয়া, জল কম খাওয়া এবং সপ্তাহে ১.৫ দিন শরীরচর্চা করা। সমীক্ষায় ৭০ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে তারা হজমের এই সমস্যা মোকাবিলায় ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন এবং খাদ্যাভ্যাসে বদল আনার চেষ্টা করেন।
গম থেকে তৈরি পণ্য, ফল, শাক-সব্জি ইত্যাদি ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে হজম ঠিকঠাক হয়, পেটের সমস্যা মেটে, কর্মশক্তি বাড়ে এবং শরীরে একটা স্বস্তি অনুভব হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে গণেশ কুমার সুন্দরম, এসবিইউ চিফ এক্সিকিউটিভ – স্টেপলস, স্ন্যাক্সস অ্যান্ড মিলস, ফুডস ডিভিশন, আইটিসি লিমিটেড, বলেন, “হজমের গণ্ডগোল একজনের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাসে একটু বদল আনলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। হজমসংক্রান্ত স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্ল্ড ডাইজেস্টিভ হেল্থ ডে-র থেকে ভাল উপলক্ষ আর হয় না। ক্রেতাদের হাতে আশীর্বাদ আটা উইথ মাল্টিগ্রেনস এর মতো পণ্য তুলে দিতে আমরা সদা সচেষ্ট। এতে আছে গম, সোয়াবিন, ছোলা, ওট, ভুট্টা, সাইলিয়ামের ভুসি, যা ফাইবারের দারুণ উৎস। প্রতিদিনের খাবারে ফাইবার যোগ করার সহজ উপায় এই আটার তৈরি খাবার খাওয়া। এর সঙ্গে বেশি ফাইবারযুক্ত অন্যান্য খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম করা আপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাহায্য করবে।”
প্রখ্যাত ডায়েটিশিয়ান অনুভা তাপারিয়া জানান, “খাবারদাবার থেকে পুষ্টি আহরণে পাচন তন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আর পাচনতন্ত্রের কাজে সাহয্য করে ফাইবার। বলা যেতে পারে কোলোনের কোষগুলি নিজেদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এই ফাইবারকেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। ফাইবার পাচনতন্ত্রকে সচল রাখা এবং অন্ত্রের নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পরামর্শ যে একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ গ্রাম (২০০ কিলোক্যালোরির আহারের হিসেবে) ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।”
পাচনতন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের দিকে ক্রেতাদের নজর ঘোরাতে আশীর্বাদ আটা উইথ মাল্টিগ্রেনস বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা শুরু করেছে। http://happytummy.aashirvaad.com/-এ লগ ইন করে ক্রেতারা তাদের ডিকিউ (ডাইজেস্টিভ কোশেন্ট) পরখ করে নিতে পারেন। আশীর্বাদ এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যে প্যানেল তৈরি করেছে, তাদের থেকে পরামর্শও পেতে পারেন ক্রেতারা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊