জাতীয় সুরক্ষা দিবস, জেনে নিন থিম ও ইতিহাস 



রাস্তা নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, মানব স্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং পরিবেশ সহ সুরক্ষা নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ৪ঠা মার্চ কেন্দ্র সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের অধীন জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘরে-বাইরে সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়।




১৯৬৫ সালের ১১ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক প্রথমবারের জন্য শিল্প সুরক্ষা বিষয়ক একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। এরপর স্থায়ী শ্রম কমিটির ২৪ তম অধিবেশনে একটি জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ১৯৭২ সাল থেকে ৪ মার্চ দিনটি জাতীয় সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চল, বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থাগুলি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।




এ বছর জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের ৪৯-তম বর্ষপূর্তি। এবছরের থিম ‘সড়ক সুরক্ষা’। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা যে বিষয়গুলির উপর জোর দিচ্ছি, সেগুলি মানুষের সাধারণ উদ্বেগের বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি। সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা রোখার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’




জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কাউন্সিল বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম / কোর্স, সম্মেলন, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ, পরামর্শ অধ্যয়ন যেমন সুরক্ষা নিরীক্ষা, সুরক্ষা রেটিং, বিপদ মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন, প্রচারমূলক উপকরণ এবং প্রকাশনা ডিজাইন এবং বিকাশ, বিভিন্ন প্রচারণা উদযাপন / পর্যবেক্ষণে সংগঠনগুলিকে সহায়তা করা যথা জাতীয় সুরক্ষা দিবস / সপ্তাহ, ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ, বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ পরিচালনা করে