ভারতীয়দের জন্য ভাল খবর অভিবাসন সংক্রান্ত আইন সংশোধন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র



ভারতীয়দের জন্য ভাল খবর অভিবাসন সংক্রান্ত আইন সংশোধন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে সেনেটর বব মেনেন্ডেজ ও রিপ্রেজেন্টেটিভ লিন্ডা স্যানচেজ ‘ইউ এস সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ২০২১’ বিল পেশ করেন। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা গ্রিন কার্ডের আবেদন মঞ্জুর ও প্রতিটি দেশের জন্য গ্রিন কার্ডের কোটা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বিলে। বিল আইনে পরিনত হলে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ভারতীয়রা সহজেই গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন।



ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মের কড়াকড়ি হওয়ায় ভারতীয়দের এইচ-১বি ও এল-১ ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তাছাড়া অনেকেই বহুদিন ধরে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় তাঁদেরও সুবিধা হবে। সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, ইমিগ্রেশন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কাটো ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রিন কার্ডের যত আবেদন জমে আছে, সবগুলি বিবেচনা করতে করতে ৮৪ বছর লেগে যেতে পারে। ততদিনে ২ লক্ষ মানুষ বৃদ্ধ হয়ে মারা যাবেন।



স্যানচেজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘নতুন বিলটি আইনে পরিণত হলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে থাকা মানুষেরা গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন। পরিবারের সদস্য ও স্ত্রী বা স্বামী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অঙ্কে পিএইচডি বিষয়ক নিয়মে বদল আনা হয়েছে। তার ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’ বাউন্ডলেস ইমিগ্রেশন সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডুগ র‍্যান্ড বলেছেন, ‘নতুন বিলের ফলে অসংখ্য মানুষ স্বস্তি পাবেন। এতদিন ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের। এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হয় না।’



নতুন নিয়মে এইচ-১বি ভিসা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীও চাকরি করতে পারবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ১,৪০,০০০ গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে। প্রতিটি দেশের জন্য ৭ শতাংশ করে গ্রিন কার্ড বরাদ্দ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হবে। ফলে এইচ-১বি ভিসায় থাকা ভারতীয়দের একটা বড় অংশ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।