অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্ত করছে পুলিশ
প্রতিনিধি সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বর্ধমানের মেঘনাথ সাহাপল্লী এলাকায়। অধ্যাপককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের বাবা মায়ের।অভিযোগের তীর মৃতের স্ত্রীর দিকে। পলাতক মৃত অধ্যাপকের স্ত্রী।
মহম্মদ আক্তার হোসেনুর রহমান, ,বয়স ৪০। বাড়ি বীরভূম জেলার মাড়গ্রাম থানা এলাকার একডালায়।বর্তমানে তিনি বর্ধমান উদয়চাঁদ মহিলা কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ছিলেন। জুলাই মাসে হোসেনুর রহমানের বিয়ে হয় সুহানা পারভিনের সাথে। অধ্যাপক নব বধূকে নিয়ে বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়ায় থাকতেন।
মৃত অধ্যাপকের বাবা মুজিবর রহমান ও মা হাসিনা বিবি বলেন বুধবার সকালে ছেলে বৌ সুহানা পারভিন তাঁদেরকে ফোন করে বলে হোসেনুর রহমান বাথরুমে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে তাড়াতাড়ি বর্ধমানে আসতে হবে। ছেলে বৌ এর ফোন পেয়ে মুজিবর সাহেব তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলেন।কিন্তু ততক্ষণে ফোন কেটে দেওয়া হয়। ছেলে বৌ এর এই খবর পেয়েই তাঁরা তড়িঘড়ি বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাড়িতে আসেন। সেখানে এসে দেখেন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। দরজা খুলে ঘরের মধ্যে ঢুকেই দেখেন মহম্মদ আক্তার হোসেনুর রহমান মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাথার পিছনের দিকে এবং গলাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরপরই খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন বর্ধমান সদর থানার আই সি পিন্টু সাহা ও বর্ধমান থানার পুলিশ বাহিনী।ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কেন অধ্যাপককে খুন করা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেনি পরিবারের লোকজন। তবে পুলিশে ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণেই এই খুন।নাকি অন্য কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারনে এই খুন।সেবিষয়ে তদন্ত করছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊