ফেসবুক লাইভে অসন্তোষের কথা ব‍্যক্ত করলেন রাজীব, কর্মীদের সম্মান না দিলে কিছু বললে অন‍্যায়? প্রশ্ন তাঁর



সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আর তার আগেই ভাঙন শুরু হয়েছে তৃণমূলে। একাধিক নেতা মন্ত্রী বেসুরো হয়েছে। কিছুদিন আগেও দলত‍্যাগ করছেনে নেতা মন্ত্রী। এবার শিরোনামে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দোপাধ‍্যায়ের ছিল আজ ফেসবুক লাইভ। আর এই ফেসবুক লাইভে কি বলবেন তিনি তা নিয়ে চলছিল জোড় জল্পনা। লাইভ বার্তার শুরুতে সরাসরি রাজনৈতিক কথা না বললেও, তিনি নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করলেন। তবে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই 'আমার নেত্রী' বলে উল্লেখ করলেন রাজীব। তিনি বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের কর্মীদের সম্মানের কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'যখন দেখা যায় কর্মীদের সম্মান দেওয়া হয় না তখন কিছু বললে অন্যায়?'



লাইভের শুরুতেই সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছার পাশাপাশি করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন। আজ থেকে ভ‍্যাকসিন প্রয়োগ শুরু। ভ‍্যাকসিন প্রয়োগ করে সকলেই কোভিড ভয় মুক্ত হোক বলেও আশা প্রকাশ করেন। স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করে তিনি বলেন, '' এই যুবসমাজ একজনকে চাইছে, যে পথ দেখাতে পারবে। খারাপ লাগে যুব ভাইবোনেরা চাকরি পেয়ে পেয়ে পাচ্ছে না। কিন্তু লক্ষ্য যদি দেখানো যায়, তাহলে অনেকে সফল হয়। অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে, অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তখন দুঃখ হয়। তাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার চালু করেছি''



এরপরেই রাজীবের গলায় অভিমানী বার্তা শোনা যায়ৎ তিনি বলেন, 'কোনওদিন মানুষকে ঠকাবো না। আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কোনওদিনও মানুষের পাশ থেকে সরে যায়নি। দলনেত্রী যে আদর্শ দেখিয়েছে, সেটাকে সামনে রেখে কাজ করেছি। কোনও বাধা আসলে জানিয়েছি, তখন কিছু মানুষ তাকে ভুল বুঝিয়ে অন্যপথে চালনার চেষ্টা করছে। আমি যখন কিছু বলছি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ভাল কাজ বাধা দিচ্ছে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। কেউ যখন অন্যভাবে নিয়ে বাকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাকে বলা হচ্ছে না। তাহলে কি যেটুকু বলা হবে সেটুকুই করব, নিজের কোনও স্বাধীনতা থাকবে না?' ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বনমন্ত্রী বলেন, 'কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত করিনি। রাজীবের কোনও পদের মোহ নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। '