টিকাকরণের আওতার বাইরে থাকবেন সন্তানসম্ভবা এবং স্তন্যদাত্রী মহিলারা !
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন জেলায় করোনার টিকা চলে এসেছে। তবে সেই করোনা টিকা স্বাস্থ্য, বয়স নির্বিশেষে সবাইকে নয়; দেওয়া হবে বাছাই করে।
আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি শুরু হতে চলা করোনা টিকাকরণের আওতার বাইরে থাকবেন সন্তানসম্ভবা এবং স্তন্যদাত্রী মহিলারা। সব রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক টিকাদানের নতুন প্রোটোকল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সন্তানসম্ভবা ও স্তন্যদাত্রীদের পাশাপাশি টিকার বাইরে থাকবেন গুরুতর অসুস্থরাও।
করোনা চিকিৎসায় যাঁদের প্লাজমা থেরাপি অথবা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সুস্থ হওয়ার পর ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উপসর্গযুক্ত সক্রিয় করোনারোগীদেরও টিকা দেওয়া যাবে না। যাঁদের বিভিন্ন ওষুধে অ্যালার্জি আছে তাঁদের ক্ষেত্রে সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা আপাতত টিকা পাবে না। যাঁরা অন্য কোনও প্রতিষেধক গ্রহণ করেছেন তাঁরা ১৪ দিনের মধ্যে করোনার টিকা নিতে পারবেন না। যাঁরা অন্য কোনও অসুখে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও সুস্থ হওয়ার পর টিকাদানের জন্য ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এইচআইভি বা ক্যানসার আক্রান্ত কিংবা অন্য ক্রনিক রোগে ভোগা রোগীদের টিকা নিতে সমস্যা নেই। কোমরবিডদেরও সমস্যা নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাও জানানো হয়েছে। তাতে মাথাধরা, বমি ভাব, জ্বর ইত্যাদি-সহ বহু উপসর্গ রয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাতেই এই ধরনের সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,কোভিশিল্ডের অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম থাকলেও সন্তানসম্ভবা এবং স্তন্য পান করানো মায়েদের উপর এই টিকার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে বিশদ গবেষণা এখনও হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks