পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে চাইছে প্রশ্নকর্তাদের-তাঁরা পাস করতে পারবেন তো! প্রসঙ্গ UGC NET  বাংলা 




SANGBAD EKALAVYA: 

শুরু হয়েছে NET পরীক্ষা, একদিকে এবছর পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে শুরুতেই তৈরি হয় সমস্যা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি কোচবিহার থেকে কারোর দুর্গাপুর-কারোর আবার কলকাতা। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে প্রচুর সমস্যার কথা জানা যায়। অপরদিকে বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় প্রশ্নকর্তাদের একপ্রকার তুলোধোনা করা হচ্ছে। 


উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী অনুপমা ঘোষ জানিয়েছে- "এবারের বাংলা নেট পরীক্ষা দিয়ে সত্যি খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে । প্রশ্ন এসেছে শিব উমাকে বিয়ে করার সময় কোন দিকে তাকিয়ে ছিল। বিভিন্ন উপন্যাস, ছোটগল্প ,প্রবন্ধ থেকে সংলাপ তুলে দিয়ে বলা হয়েছে কোন সংলাপ আগে কোন সংলাপ পরে। এসব প্রশ্ন দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার কোনো মানে নেই। এর থেকে ভালো বাংলা নেট পরীক্ষা উঠিয়ে দিক। "

এই ধরনের প্রশ্নে কার্যত হতাশ ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই। সমীর মন্ডল নামে এক ছাত্র স্যোসাল মিডিয়ায় জানিয়েছে -

"আসলে NTA বাংলা বিষয়টাকে পরোক্ষভাবে বাদ দিতে চেয়েছেন। যিনি প্রশ্ন করেছেন তার উদ্দেশ্যে বলি আপনাকে পুরো সিলেবাস পড়তে হবে না আপনি একটা উপন্যাস এক বছর দু বছর 5 বছর ধরে পড়ুন আর আমরা আপনাকে "ওই ক্রমানুযায়ী সাজাও" 100 টি প্রশ্ন করব দেখব আপনি কতগুলো ঠিক করেন।"

ঋতিকা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন- "গতকাল নেট পরীক্ষা দিয়ে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম যে, যিনি বা যারা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তারা সিলেবাসর 'স' লেখার আগে যে মাত্রাটুকু দিতে হয়, সিলেবাস সম্পর্কে সেটুকু ধারণাও তাদের নেই। ইচ্ছে মতো পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যেপাতায় যা নজরে পড়েছে সেখান থেকেই কতগুলো লাইন তুলে আগে পরে দিয়ে দিয়েছেন। শুধু প্রশ্ন থেকে যায় এটাই যে, আগামী দিনের নেট পরীক্ষার্থীদের তাহলে কর্তব্য টা কি? কিভাবে পড়াশুনা করবে তারা? প্রস্তুতি নেবে কিসের ভিত্তিতে?"

ছাত্রদের কাছ থেকে আরও জানাগিয়েছে- এরিস্টটলের পয়েটিক্স গ্রন্থ থেকে চারটে লাইন তুলে ক্রমানুযায়ী সাজাতে বলেছে। এধরণের প্রশ্ন কার্যত প্রশ্নকর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ছাত্রদের দাবী- ওই পয়েটিক্স গ্রন্থ থেকেই আমরা প্রশ্ন সেট করে প্রশ্ন কর্তাদের প্রশ্ন পাঠাতে চাই- তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন  তো? না পারলে চাকরী ছাড়বেন তো। 



সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যেখানে সমস্ত শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে সেক্ষেত্রে  প্রশ্নকর্তাদের এধরণের প্রশ্ন কার্যত বাংলা ভাষা-সাহিত্যের   মান শেষ করছে বলেই মত পোষণ করেছে পরীক্ষার্থীরা। 

বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন UGC কে এক্ষেত্রে দোষ না দেওয়াই ভালো কারন প্রশ্নকর্তারা তো বাংলারই। আসলে কিছু অধ্যাপক তাঁদের বিদ্যা জাহির করতে গিয়ে ছাত্রদের কথা মাথাতেই রাখছেন না।