আজ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ সহকারে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব



সুজাতা ঘোষ, বাগডোগরাঃ আজ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ সহকারে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব । নবান্ন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম।




"নবান্ন" শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন"। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদযাপনের প্রথা রয়েছে। 

নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর। গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড় সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন। নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে "কাকবলী"।




এই নতুন চালের খাদ্যসামগ্রী তৈরি করার নিয়ম বিভিন্ন স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। তবে জানাযায়, বাড়ির গৃহকর্তা নতুন ধূতি পড়ে,মাঠে গিয়ে ধান কেটে ,সেই ধান কলার পাতায় তুলে মাথায় করে গৃহে নিয়ে আসতে হয় । এরপর নয় রকম ফল , বডবডি , মুলা ,ছোটো ছোটো করে কেটে তার মধ্যে ধান খুঁটে নতুন চাল,গঙ্গা জল ,দুধ,ঘি,মধু,গুড় দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হয়।