‘সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না, মানুষকে ভুল বোঝানো হয়’: উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু


সন্ত্রাস যে দেশের বড় শত্রু তা সকলেই জানে। তবে সন্ত্রাসের সঙ্গে অনেক সময় একটা নির্দিষ্ট ধর্মকে জুড়ে দেওয়া এখন আর নতুন কিছু নয়। সন্ত্রাস ও ধর্মকে একসূত্রে না বাঁধার আর্জি জানিয়েছেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। 


শনিবার এক ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানেই বিপদ। এর কোনও ধর্ম হয় না। কোনও ধর্ম সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে না। কিছু মানুষ এটা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করেন। কোনও দেশই সন্ত্রাসের রক্তচক্ষু থেকে সুরক্ষিত নয়।” এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। নাইডুর কথায়, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির একজোট হওয়া প্রয়োজন। সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশকে শুধু বিচ্ছিন্ন করলেই চলবে না, তাদের শাস্তিও দিতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে বেশি দরকার।” 




সন্ত্রাস ও ইসলামের যোগ রয়েছে এমনও মনে করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, অনেক সময় সন্ত্রাসের বিরোধিতা করতে গিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে কটু কথা বলেছেন নেতারা এমনও অভিযোগ রয়েছে। তবে এদিন দেশের উপরাষ্ট্রপতি মন্তব্য করেন, দেশ ‘সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না, মানুষকে ভুল বোঝানো হয়’। এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যখন সন্ত্রাস ও ইসলামের সমর্থক বানিয়ে ফেলার অভিযোগ তারাই এখন কেন্দ্রের সরকারে অধীন, এমন আবহে সন্ত্রাস ও ধর্ম আলাদা-বেঙ্কাইয়া নাইডুর এই মন্তব্য নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। উপরাষ্ট্রপতির এরুপ মন্তব্যে কেউ কেউ বলছেন, দলের ঊর্ধ্বে উঠে সাংবিধানিক পদের মর্যাদা রেখেছেন তিনি। কেউ কেউ অবশ্য এর পিছনে গভীর তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছেন।