রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। আর সেই সংঘাত নিল নয়া মোড়। অপরাধীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তুললেন, শুধু তাই নয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত বলেই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ‘অপরাধীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত’ ।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে গরুপাচার, মানুষ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইডির নাম করে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন সুদীপ্ত রায়চৌধুরী। রোজভ্যালি ছাড়া আরও দুটি কেস যুক্ত হয়েছে। গোবিন্দ আগরওয়াল ও সুদীপ্ত রায়চৌধুরী দুজনেই প্রতারক। এই দুজনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পিএমএলএ আইনে তদন্ত করছে। অথচ কলকাতা পুলিশের কাজের সমালোচনা করছেন রাজ্যপাল।’ তৃণমূল সাংসদের আরও দাবি, পুলিশের সমালোচনা করে এই দুই অপরাধীর পক্ষ নিচ্ছেন রাজ্যপাল। ‘দুই অভিযুক্তের পক্ষে কেন কথা বলছেন রাজ্যপাল? তাহলে কী তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল?’ এদিন এমনই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিস্ফোরক অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে অপরাধীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’
এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও বলেন, ‘কেউ তদন্তে বাধা দিলে ১৮৬ ধারায় শাস্তি হওয়া জরুরি। পুলিশ সহ সরকারি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন, কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’
তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালু করা উচিত।' পাশাপাশি রাজ্যপালকে আইনি পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আগে ১৬৩ ধারা ভালো করে পড়ুন রাজ্যপাল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊