আবার বাংলাই দেখালো পথ! মমতার দাবিকে সায় দিল কেন্দ্র

আবার বাংলাই দেখালো পথ! মমতার দাবিকে সায় দিল কেন্দ্র


সারা পৃথিবী জুড়ে যখন থেকেই করোনার থাবা আরম্ভ হয়েছে তখন থেকেই শব্দকোষে নতুন নতুন শব্দ যুক্ত হয়েই চলছে। তবে, করোনা কালে বহুল ব্যবহৃত শব্দ 'সামাজিক দূরত্ব', যার ব্যবহার নিয়ে চলে বিতর্ক। আসলেই কি সামাজিক দূরত্ব রাখা জরুরী, প্রকৃতপক্ষে দূরত্ব থাকবে শরীরের মিলন থাকবে আত্মার। তাহলে কি করে এই শব্দ মেনে নেওয়া যাওয়া উঠেছে প্রশ্ন। প্রথম থেকেই এই সামাজিক দূরত্ব কথার বিরোধী ছিল অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের ধারনা ছিল, আদতে এই শব্দের জেরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের না বয়কটের তালিকায় ফেলে দেয় মানুষ। দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেটা প্রথম অনুধাবন করতে পারেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটির বদলে ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। 



মুখ্যমন্ত্রী সেই ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটির বদলে ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি ব্যবহারের সংসদে উত্থাপন করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শান্তনু সেন । অবশেষে কেন্দ্র শান্তনুর সেই দাবি মেনে নিয়েছে। চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এরপর থেকে আর সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স নয়, ব্যবহার হবে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স কথাটি। 



এ প্রসঙ্গে ডঃ শান্তনু সেন বলছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শারীরিক দূরত্ব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এখন তা গোটা দেশে ব্যবহৃত হবে। একইভাবে কো-মর্বিডিটি স্টাডিজ, সেফ হোমের মতো বিষয় গুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম ব্যবহার করেন। এগুলো আজ গোটা দেশে সমাদৃত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ