মায়ানমারের মসনদে ফের সু কি, শুভেচ্ছা মোদীর 


ফের মায়ানমারের মসনদে আং সান সু কি। ২০১০ সালেই পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের চোখে চোখ রেখেই দেশে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে মায়ানমার৷ ২০০৮ সালে সে দেশে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল৷ ২০১৫ সালে হয় সাধারণ নির্বাচন৷ ওই নির্বাচনে বড় জয় পায় সু কি-র দল 'ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি' (এনএলডি)৷ বার্মিজ জনতার বিপুল সমর্থনে মসনদে বসেন সু কি। এরপরে গড়িয়েছে অনেক জল। আন্তর্জাতিক স্তরে রোহিঙ্গা কাণ্ডে অনেক নিন্দার স্বীকার হয়েছিল মায়ানমার। সুকির অঙ্গুলি লেহনে সেনার হাতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জেরে গোটা বিশ্বের কাছেই মুখ পুড়েছে মায়ানমার সরকারের। আন্তর্জাতিক আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও উঠেছিল৷ সেনার সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হেঁটে তাদের ছত্রছায়াতেই ফের দ্বিতীয়বারের জন্য মসনদে বসতে চলেছেন নোবল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত সুকি। 


নিয়মরক্ষার ভোটে জিতে ফের মসনদে আং সান সু কি 'স্বচ্ছ প্রশাসনের' প্রতিশ্রুতি দিয়েও দিতে পারেননি। বর্তমানে দেশে 'শুদ্ধিকরণ' ও নীতিগত পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে ধরে রাখতে পারলেন না। বিতর্ক পিছু ছাড়েনি এদেশে। এ বারের ভোটে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় তাদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। মায়ানমারে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ। সারা বিশ্ব রোহিঙ্গা গণহত্যায় তোপ দাগলেও দেশের মানুষদের যে কিছু যায় আসে না তা আগেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। 



দ্বিতীয়বার মসনদে বসতে চলায় অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি টুইট করে লেখেন, দাও অং সান সু কি ও এনএলডিকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন। সফল নির্বাচন পরিচালনা করা মায়ানমারে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণের আরেক ধাপ। আমাদের বন্ধুত্বের ঐতিহ্যগত বন্ধনকে আরও জোরদার করতে আপনার সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় আমি।