করোনা এখনও দমন হয়নি, আরও এক নতুন ভাইরাসের হদিশ দিল বিজ্ঞানীরা
করোনা সংক্রমণের দাপট সারা বিশ্বজুড়ে। গতকাল ১৭ই নভেম্বর এক বছর পূর্ণ করে করোনা। গত বছর এই তারিখেই প্রথম করোনা আক্রান্তের একজনের খবর সামনে আসে। তারপর চলে গেল দেখতে দেখতে একটা বছর কিন্তু থামেনি করোনার থাবা। এখনো আবিস্কার হয় নি তেমন কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন। এরই মাঝে ফের এক ভাইরাসে হদিশ দিল বিজ্ঞানীরা। মারণ ভাইরাসের আঁচড় ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-র ঘোষণা অনুযায়ী, "চাপারে ভাইরাস" সংক্রমণে ইবোলার মতো হ্যামোরেজিক ফিভার (যে জ্বরে রক্তক্ষরণ হয়) হতে পারে তাই নয়, আরও ভয়ের বিষয় হল তা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে।
সিডিসি-র তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাস অ্যারিনাভাইরাস পরিবার। সংক্রমিত ইঁদুরের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ অথবা ইঁদুরের মলমূত্রের সঙ্গে পরোক্ষ সংস্পর্শে এলে মানুষও সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসের সংক্রমিত ব্যক্তির জ্বরে রক্তক্ষরণ হয়। মানুষের থেকে মানুষেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির লালারস বা এরোজলের মাধ্যমে অথবা, চেস্ট কমপ্রেসন, সিপিআর ও ইনট্যুবেশনের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সময়ও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এই ভাইরাসের দেখা প্রথম মেলে ২০০৩-এ। লাতিন আমেরিকার বলিভিয়ার চাপারে প্রদেশে। এরপর ২০১৯-এ বলিভিয়ারই কারানাভি প্রদেশে। চাপারেতে একজন ও কারানাভিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিডিসি-র সঙ্গে যৌথ গবেষণা চালিয়ে প্রথমবার চাপারে ভাইরাসকে চিহ্নিত করে প্যান-আমেরিকান হেল্থ অর্গানাইজেশন (পাহো)।
বিজ্ঞানীদের জানান, এক ব্যক্তির থেকে অন্যের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তাঁদের গবেষণায় উঠে আসে,সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শুক্রাণুর মধ্যে প্রায় ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত চাপারে ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊