কালীপুজো সহ মরশুমের বাকি পুজোগুলি নিয়ে নির্দেশিকা হাইকোর্টের 


দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোতেও বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করল আদালত। কালীপূজো, ছটপুজা সহ মরশুমের সব পুজোয় যেন কড়াকড়ি ভাবে পালন করা হয় কোভিড হয় বিধি সেই দাবি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি বাজি পোড়ানতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ করোনা সংক্রমণ ও বায়ুদূষণের কথা মাথায় রেখে এবছর রাজ্যে বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্টে।


আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী- 

  • রাজ্যের সর্বত্র সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ করা হল এবছরের জন্য।
  • কালীপুজো, দিওয়ালি, ছটপুজোয় বন্ধ বাজি।
  • বাজি বিক্রিও করা যাবে না।

  • দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে হোক কালীপুজো। 
  • বিধিনিষেধ মেনে হোক জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো।
  • ১৫০ স্কোয়ার মিটার বা কম আয়তনের প্যান্ডেলে ১০ জন।
  • ১৫০ থেকে ৩০০ স্কোয়ার মিটারের প্যান্ডেলে ১৫ জন। 
  • ৩০০ স্কোয়ার মিটারের বেশি প্যান্ডেলে ৪৫ জন।
  • প্যান্ডেল থেকে ৫ মিটার এলাকা নো-এন্ট্রি জোন। 
  • ঢাকিদের প্রবেশাধিকার থাকবে। 
  • বিসর্জনে বাজনা এবং আলোকসজ্জা করা যাবে না। 
  • বিসর্জনে ঘাটে সীমিত লোক।

রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ করার কথাও জানায় আদালত। পাশাপাশি, রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে ছটপুজো প্রসঙ্গে বেঞ্চ গঙ্গা বা অন্য জলাশয়ে ছটের দিন কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ তা রাজ্যের কাছে জানতে চায়। 


মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ই নভেম্বর। এদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রনে বাজিতে অনুমোদন নয় বলেই জানান কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।