মাত্র ৯ বছর বয়সেই জাতীয় তাইকোন্ডো সংস্থার রেফারি হওয়ার গৌরব অর্জন করল অধ্যায়ন
মাত্র ৯ বছর বয়সেই জাতীয় তাইকোন্ডো সংস্থার রেফারি হওয়ার গৌরব অর্জন করল জলপাইগুড়ির অধ্যায়ন গুহরায়। এর আগে মাত্র সাত বছর বয়সে তাইকোন্ডোর ব্ল্যাকবেল্ট পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছিল অধ্যায়ন। বাংলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট বয়সের ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়া খেলোয়াড় হিসেবে ইতিমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে সে।
মূলত ফাইটিং-ই সবচেয়ে বেশি পছন্দ অধ্যায়নের। এছাড়া পায়ে বিভিন্ন ধরণের কিক মারাতেও বেশ পটু ছোট্ট অধ্যায়ন।
জলপাইগুড়ির সেন্ট অ্যান্থনি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র অধ্যায়ন। খেলাধূলোর পাশাপাশি পড়াশোনাতেও বেশ নজর রয়েছে তার।
অধ্যায়নের মা রক্তিমা গুহরায়। বাবা পাপ্পু গুহরায় ১৯৯৮ সালে তাইকোন্ডোর ব্ল্যাকবেল্ট পেয়েছেন। এখন ব্ল্যাকবেল্ট সেকেন্ড ডান তিনি। পাশাপাশি জাতীয় রেফারি ও কোচের ভূমিকাও পালন করছেন। জলপাইগুড়ি জেলা অ্যামেচার তাইকোন্ডো অ্যাসোসিয়েশনের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন তিনি।
মাত্র ৩ বছর বয়সে বাবার কাছেই তাইকোন্ডোর প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে অধ্যায়ন। তারপর থেকে আজও কঠোর অনুশীলনে মগ্ন রয়েছে সে। গত ছয় বছরে একের পর এক পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন বেল্ট অর্জন করেছে অধ্যায়ন। ৭ বছর চার মাস বয়সে তাইকোন্ডোর ব্ল্যাকবেল্ট পরীক্ষা দিয়েছিল। সেখানেও সফল অধ্যায়ন। খেলার পাশাপাশি রেফারির ভূমিকাতেও বেশ নজর কেড়েছে ।
ইতিমধ্যেই কয়েক মাস আগে রেফারির পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় তাইকোন্ডো সংস্থার রেফারি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে অধ্যায়ন। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ ঘন্টা করে অনুশীলন করছে অধ্যায়ন। জলপাইগুড়ির দাদাভাই ক্লাবের মাঠে অনুশীলনে দেখা যায় তাকে।অধ্যায়ন সিনিয়র ও জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিজেই প্রশিক্ষণ দেয় । পাশাপাশি অনেক দাদা দিদিদেরও প্রশিক্ষণ দেয় অধ্যায়ন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊