Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ঐতিহাসিক বিকাশ ভবন আন্দোলনের দিনেই আরও এক বড় পদক্ষেপ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের

ঐতিহাসিক বিকাশ ভবন আন্দোলনের দিনেই আরও এক বড় পদক্ষেপ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের 


দীর্ঘ আট মাস যাবৎ কোভিড পরিস্থিতি এবং শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাসের কারণে বাংলার 48000 পার্শ্বশিক্ষক,শিক্ষিকারা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছে। তারা ভেবেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তার কথা রাখবেন। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে এই সরকার তাদের দান দক্ষিণা চালু করলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারনে 48000 পার্শ্ব শিক্ষিকরা সম্পূর্ণ রূপে বঞ্চিত। আর তাই মিথ্যে আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে আবার আন্দোলনে নামতে চলেছে 48000 শিক্ষক-এমনটাই জানা গেছে সংগঠন সূত্রে। 


এবার নেতৃত্বে রয়েছেন মধুমিতা বন্দোপাধ্যায়, ভগীরথ ঘোষ, শামীম আখতার প্রমূখ, সাথে শাসক দলের পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য স্তরের কিছু নেতৃত্ব থাকবেন বলেও সূত্রের খবর। 
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে - "ঐতিহাসিক বিকাশ ভবন আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিন 11 ই নভেম্বর থেকে সেদিন আমরা সকলেই সকাল 11 টার সময়ে শিয়ালদহ থেকে মিছিল সহকারে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরবো এবং পরবর্তী দিন থেকে আমরা দিদির প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে আমাদের দুরবস্থার নিরসনে তাদের ভুমিকা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশসানের নিকট প্রার্থনা পত্র পৌছে দেবো। সরকারের ঘুম না ভাঙে তবে সব শেষে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে লাগাতার আন্দোলন চলবে। "


পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানান- "আবারো দৃঢ় সঙ্কল্প নিয়ে আগামী 11 ই নভেম্বর থেকে আমাদের মুক্তির আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এই সরকারের ঘুম ভাঙিয়ে আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইতে আমি সামিল হচ্ছি। আসুন আপনারাও সবাই,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে ছিনিয়ে আনি ন্যায্য অধিকার। মনে রাখবেন, 21 এর নির্বাচনের আগে এটাই শেষ সুযোগ আমাদের কাছে ।"  আরও অন্যান্য সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের WhatsApp Goup এ এখনি যুক্ত হতে ক্লিক করুন- CLICK 

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুন ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ৫০ হাজার টাকার করোনা ও আম্ফান এর ত্রাণ হিসাবে তুলে দেন। সেই সাথে বেতন কাঠামো সহ একাধিক দাবী সহ একটি দাবীপত্র শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। আম্ফানে অনেক পার্শ্বশিক্ষকদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছ, শিক্ষামন্ত্রী যাতে এই দিকে বিশেষ দৃষ্টি যাতে দেন তারও আবেদন জানানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানান- বর্তমান করোনা এবং মহামারী বিধ্বস্ত অবস্থা স্থিতীশীল হলেই পার্শ্বশিক্ষকদের দিকে দৃষ্টি দেবেন। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কোন পজিটিভ বিষয় এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করে উঠে না আসায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। 

এখন দেখার ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক মিছিল কতটা সুফল আনতে পারে রাজ্যের ৪৮ হাজার পার্শ্বশিক্ষকের জীবনে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code