স্মার্ট ফোন না থাকায় পরীক্ষা দেওয়া হল না সুমিত্রার 


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান



করোনা প্যানডেমিকের কারনে বন্ধ হয়ে আছে স্কুল কলেজ গুলো। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে অনলাইনে মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করছেশিক্ষা দপ্তর। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন স্মার্টফোন।পাশাপাশি করোনা প্যানডেমিক এর কারণে কলেজে পরীক্ষা ফরম ফিলাপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। এমনকি পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোন না থাকার কারণে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো তথ্য পায়নি পূর্ব বর্ধমান জেলা বর্ধমান মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমিত্রা সরেন। 



গতকাল বন্ধুদের কাছ থেকে আজ পরীক্ষার বিষয় জানতে পেরে খণ্ডকে ছুটে আসে কলেজে। এরপর সেখান থেকে সেখান থেকে ছুটি আছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কন্ট্রোল অফিসে।কোনমতেই পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আধিকারিক এদের কাছ থেকে জানতে পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পিত্তহীন সুমিত্রা। 



সুমিত্রা বলে কয়েক বছর আগে বাবা মারা গেছে। দিনমজুরের কাজ করে মা কোনরকম সংসার চালায় ।নুন আনতে পান্তা ফুরনো ঘরে স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই সুমিত্রা।সংসার চালাতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মায়ের সাথে সংসারের কাজ হাত লাগাতে সুমিত্রা। সুমিত্রা বলে পরীক্ষা দিতে না পারায় একটা বছর নষ্ট হবে তার।এরপর সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সুমিত্রা। অন্যদিকে পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করে ও এডমিট কার্ড না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারলোনা আরামবাগ গার্লস কলেজের ছাত্রী পল্লবী নায়েক।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কন্ট্রোলারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।