ইতিহাস তৈরী হলো ! আম্ফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনে ৩০ হাজার ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ 



বিধ্বংসী আমফান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলো-সুন্দরবন যতটা রক্ষা পেয়েছে তা বৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য। ঝড় শেষে তাই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হাসনাবাদ ইছামতী কেন্দ্র এবং অল্টার লাইফ যৌথভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষায় আজ হিঙ্গলগঞ্জের বেঢ়ের চকে, ডাঁসা নদীর চরে, দেড় কিলোমিটার চরে ৩০,০০০ হাজার ম্যানগ্রোভ চারা রোপন করলো । 


জানা গিয়েছে- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক উজ্জ্বল ছাত্র মিলে গঠন করেছে অল্টার লাইফ, আম্ফান এবং পরবর্তী সময়ে জনতার রান্নাঘর থেকে, পুকুরের নোনা জল ছেঁচে তোলা, হাস মুরগী ইত্যাদি নিয়ে গ্রাম পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত তারা।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের অন্যতম রাজ্য সহ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন- "ইতিহাস তৈরী হলো আজ, অবিশ্বাস্য কাজ হলো আজ, সৃজিত হলো বিস্তীর্ণ বাদাবন।... সে এক সুবিশাল কর্মযজ্ঞ চলল আজ, দড়ি ফেলে ধান রোয়ার মতো করে রোপন করা হলো ম্যানগ্রোভ চারা।কালো বাইন, পেয়ারা বাইন, কাঁকড়া, হরগোজা ক্যাওড়া ইত্যাদি নিয়ে সৃজন করা হলো বাদাবন বা ম্যানগ্রোভ অরণ্য। আম্ফান পরবর্তী সুন্দরবনের বাদাবন বা ম্যানগ্রোভ প্লান্টেশনের ক্ষেত্রে এক অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। জনবিজ্ঞান সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনের মানুষজনের গর্বের দিন আজ। এ উদ্যোগ তুলনাহীন এবং বিরল।"

তিনি আরও জানান- "এবার চ্যালেঞ্জ থাকবে এই ৩০,০০০ হাজার ম্যানগ্রোভ চারার অধিকাংশকে বাঁচিয়ে রাখার। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ এবং অল্টার লাইফ এ বিষয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করেছে এবং বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে এ ছাড়া অন্য উপায় নেই, যেকোনও মূল্যে বাদাবনকে রক্ষা করতেই হবে, রক্ষা করলে সাইক্লোনে আর নদীবাধ ভাঙবে না। বিশ্ব উষ্ণায়নজনিত কারণে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি ও সুন্দরবনের ভূমিক্ষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাদাবন তৈরীর কাজ সুদূরপ্রসারী ভূমিকা গ্রহণ করবে।" 


পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের   ইছামতি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সভাপতি পার্থ মুখার্জী  বলেন- "আমাদের স্বপ্ন পূরণ হলো আজ।"