আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের, জেনে নিন বিস্তারিত
এবছর মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে লকডাউন যখন প্রথম দিকে শুরু হয় তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবছর পুজো হবে না। শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা পরিষ্কার করে দেন যে, করোনা কালীন আবহের মধ্যে পুজো হবে। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি দুর্গাপুজো হতে। এখন থেকেই উৎসবের আমেজ গায়ে মাখছেন অনেকেই। তা বলে তো আর করোনাকে থোড়াই কেয়ার করা চলে না। তাই করোনাতঙ্কের মধ্যেই কীভাবে উৎসব পালন হবে তা নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করল কেন্দ্র সরকার।
কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে, মুখে মাস্ক না থাকলে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মণ্ডপে ঢোকার আগে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। সেই সময় যদি কারোর উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে তাঁকে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে ন। আবার কনটেনমেন্ট জোনে তো উৎসবই পালন করা চলবে না। সেখানকার বাসিন্দারা অন্য এলাকার পুজোতে অংশ নিতেও পারবেন না।
জানুন নির্দেশিকা কি কি বলা হয়েছে :-
- কনটেনমেন্ট জোনে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে উৎসব পালন করা যাবে। যাঁরা কনটেনমেন্ট জোনের কাছে থাকেন, তাঁদের বাড়িতেই উৎসব পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- বয়স্ক মানুষ অর্থাৎ ৬৫ বয়সের উর্ধ্বে প্রবীণ, কোমর্বিডিটি থাকা মানুষ, অন্ত্বঃস্বত্ত্বা মহিলা এবং ১০ বছরের কম শিশুদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- মন্ডপে ঢোকার সময় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
- থুতু ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।
- পুজোর সময় মেলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই বিধিনিষেধ মেনে। আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে।
- সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার জন্য অনুষ্ঠানের জায়গায় ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে। মানুষের দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করতে হবে।
- যে কর্মী বা দর্শকদের উপসর্গ থাকবে না। তাদেরকে মণ্ডপে প্রবেশ করানো হবে।
- অনুষ্ঠানে জায়গায় ঢোকা এবং বেরোনোর একাধিক গেট থাকতে হবে। প্রবেশের পথে বাধ্যতামূলকভাবে থার্মাল স্ক্রীনিং করতে হবে। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊