হাথরাস কান্ডে উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ কর্তাদের ১২ই অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে নোটিস এলাহাবাদ হাইকোর্টের,
হাথরাসের তরুণীর গণধর্ষণ, মৃত্যুর ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গ্রেফতার হন রাহুল গাঁধী। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও ধাক্কা মেরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ হাথরাসের ঘটনাটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিবেচনার মধ্যে এনে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারি করল।
বিচারপতি রাজন রায় ও বিচারপতি জশপ্রীত সিংহের বেঞ্চ নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর, এডিজি এলও, হাথরাসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ সুপারকে। ১২ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের জবাব তলব করা হয়েছে।
হাথরাসের গণধর্ষণ, মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকার দিকে আঙুল উঠছে। উঠছে নানান প্রশ্ন, রাতের অন্ধকারে শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে কেন পুলিশ নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দিল? আজ শীর্ষ পুলিশকর্তাদের বক্তব্য় ঘিরেও তৈরি হয়েছে সংশয়।
রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার দাবি করেন, হাথরাসের যে মেয়েটির ওপর যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে, তার ফরেনসিক রিপোর্টে পরিষ্কার, ধর্ষণই হয়নি। তিনি বলেছেন, মেয়েটির দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনায় কোনও শুক্রাণু মেলেনি বলে জানানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টে। তাতে ধর্ষণের প্রমাণ নেই। ঘাড়ে আঘাত লেগেছিল আর তাঁতেই মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। কিছু লোক জাতপাতের দ্বন্দ্ব উসকে দিতেই ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে বলে মনে হয়। পুলিশ প্রথম থেকেই সময়োচিত পদক্ষেপ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊