প্রয়াত মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রামবিলাস পাসোয়ান

প্রয়াত মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রামবিলাস পাসোয়ান





২০২০ সালে আরও এক পতন। এবার প্রয়াত মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রামবিলাস পাসোয়ান। কয়েকসপ্তাহ আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হার্ট সার্জারির পর আজ ৭৪ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।  

সম্প্রতি দিল্লির একটি হাসপাতালে হার্ট সার্জারি করেছেন। তিনি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারে কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পাসওয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ান তার টুইটার অ্যাকাউন্টে তার বাবার মৃত্যুর ঘোষণা দেন।


শ্রী যমুন পাসওয়ান ও সিয়া দেবীর সন্তান রামবিলাস পাসোয়ানের জন্ম দলিত পরিবারে। বিহারের খাগরিয়া জেলার শাহারবাণী গ্রামের ভূমিপুত্র তিনি। পাসোয়ান কোসি কলেজ, পিলখী ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আইনে স্নাতক ও কলা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। 

১৯৭৭ সালে রামবিলাস হাজীপুর পুরসভার জনতা পার্টির সদস্য হিসেবে যোগ দেন লোকসভায়। ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০১৪-র নির্বাচনে পরপর আটবার জনতা পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবেই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ টানা আটবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। 

২০০০ সালে তিনি গঠন করেন এলজেপি পার্টি। চার বছর পর অর্থাৎ ২০০৪-এ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকারের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধেন। কেমিক্যালস সার্টিফিকেশন অ্যান্ড স্টিল মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অঘটন ঘটে ২০০৯-এ। ওই বছরের লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হন পাসোয়ান। তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন রামবিলাস। পালাবদল ঘটে ২০১৪-য়। ওই বছর সাধারণ নির্বাচনে হাজীপুর কেন্দ্র থেকে ১৬ তম লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। 

২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর পাসোয়ান যোগ দেন সংযুক্ত প্রগ্রেসিভ জোট সরকারে এবং রাসায়নিক সার ও ধাতুশিল্প দফতরের মন্ত্রী হন।

২০০৬-এর ফেব্রুয়ারিতে বিহার রাজ্য নির্বাচনে পাসোয়ানের দল নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যদিও কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার নির্বাচন করতে সক্ষম হয়নি। তবে, সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সেই সময় পাসোয়ান দুর্নীতিগ্রস্ত লালু যাদব বা এনডিএ কোনও দলকেই সমর্থন না করায় সরকার গড়ার পথে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই অচলাবস্থা কাটে যখন পাসোয়ানের ১২ সদস্যকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করেন নীতিশকুমার। সমস্যা সমাধানে বুটা সিং এরপরেই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন এবং নতুন নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন।


তথ্যসূত্রঃ ওয়ান ইন্ডিয়া 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ