ভারতে কাজ গোটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল


ভারতে কাজ গোটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছে এই মানবাধিকার সংগঠন। সরকার তাদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায় তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণেই ভারতের কাজ গোটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। 





অ্যামনেস্টি বলেছে, সরকার বৈধ তহবিল সংগ্রহের মডেলকে এখন আর্থিক তছরুপ বলে তুলে ধরছে। এটাই প্রমাণ যে, কোনও মানবাধিকার কর্মী ও গোষ্ঠী সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও দমনপীড়নকে চ্যালেঞ্জ জানালে আইনি পরিকাঠামোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজে লাগাচ্ছে।



অ্যামনেস্টির অভিযোগ, গত দুই বছর ধরে সংস্থার ওপর দমন চালানো হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। 



অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় হয়রানির শিকার তাঁরা বলেই জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অবিনাশ কুমার। সরকারে স্বচ্ছতা এবং সম্প্রতি দিল্লির হিংসার ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দিল্লির পুলিশ ও ভারত সরকারের দায়বদ্ধতা, জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও মানবাধিকার লঙ্ঘনেও সরব হয়েছিল অ্যামনেস্টি। ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। 



সরকারের অভিযোগ ছিল, অ্যামনেস্টি বেআইনিভাবে বিদেশি অর্থ পাচ্ছে। ২০১৮-তে ইডি বেঙ্গালুরুতে অ্যামনেস্টির সদর দফতরে বিদেশী মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল। যদিও অ্যামনেস্টির দাবি, তারা সমস্ত ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করে।



সরকারি সূত্রে সংবাদসংস্থাকে জানানো হয়েছে, অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে ইডি-র কোনও তদন্ত হয়নি। তদন্ত ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে, যারা সন্দেহজনক রফতানি আয় মারফত্ ৫১ কোটি টাকা পেয়েছিল।



অ্যামনেস্টি-র অভিযোগ খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে কেন্দ্র বলেছে, অ্যামনেস্টি যে অবস্থান নিয়েছে এবং যে সব অভিযোগ তুলেছে, সেগুলি অতিরঞ্জিত, দুর্ভাগ্যজনক ও সত্যের অপালাপ।



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত কোনও সংস্থাকে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিতর্কে হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয় না ভারত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিদেশি অনুদান (নিয়ন্ত্রণ) আইন (এফসিআরএ)-তে মাত্র একবার এবং তাও কুড়ি বছর আগে অনুমতি পেয়েছিল। তারপর আবেদন করলেও সংস্থাকে এফসিআরএ অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ভারতে নথিভূক্ত চারটি সংস্থাকে অ্যামনেস্টি ইউকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিল। এভাবে ঘুরপথে অর্থ প্রেরণ আইন বিরুদ্ধ।