ভাতা নয় চাকরি চাই স্লোগানে আবারও পথে  বেঙ্গল ইউথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন 




বহু আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে সাড়া না পাওয়ায় অল বেঙ্গল ইউথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেকার যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীরা গতকাল রাস্তায় নেমেছিল।


যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। দীর্ঘ সাত বছর আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকের নাম নথিভুক্ত বেকারদের উদ্দেশ্যে মাসে পনেরশো টাকা উৎসাহ ভাতা চালু করেন এবং উক্ত মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রথম 1 লক্ষ যারা আজ থেকে মাসে 1500 টাকা করে উৎসাহ ভাতা পাচ্ছেন তাদের এক বছরের মধ্যে বয়স এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে সরাসরি সরকারি দপ্তর গুলিতে নিয়োগ এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হবে এবং এই একলাখ ভাতা প্রাপক নিয়োগ হয়ে গেলে তাদের ভাতা বন্ধ করে পরের একলক্ষ কে ভাতার আওতায় এনে এইভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।

কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষা করার পরও প্রথম নথিভুক্ত বেকার কর্মপ্রার্থীদের ই কোনো সুরাহা হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় থেকে শ্রমদপ্তর এমনকি প্রত্যেকটি বিভাগীয় দপ্তরে 'অল বেঙ্গল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন' এর পক্ষ থেকে বহুবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।এর আগে তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ঠিকানায় যুবশ্রীদের দূরাবস্থার কথা জানিয়ে খোলা চিঠি প্রেরণ করেছিলেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে শিক্ষিত বেকার কর্মপ্রার্থী রা অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে জীবনধারণের মতো কোনো কর্ম না থাকায় যুবশ্রী কর্ম প্রার্থীরা আজ আবার 'ভাতা নয়-চাকরি চাই' স্লোগান এ পথে নেমেছিল।

নদীয়া জেলা কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নদীয়ার পোস্ট অফিস মোড় থেকে মহামিছিলের মাধ্যমে জেলাশাসকের দপ্তরের গেটের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। অতঃপর জেলাশাসকের দপ্তরে বিভাগীয় প্রধান কে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। উনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।