নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে তরজা!ময়দানে নামলেন বিডিও




জল নিকাশি নালা নিয়ে সমস্যায় আলিপুরদুয়ারের ভোলারডাবরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২/১৬১ পার্টের সাধারণ মানুষ।সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু জলে ভাসে প্রায় 50 পরিবার,নিকাশি না থাকায় নষ্ট হচ্ছে চাষের জমি,খেতে বীজ বপন করা যাচ্ছে না,নোংরা জমা জলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী।যদিও এ বিষয়ে এলাকাবাসীর আঙ্গুল স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে।পঞ্চায়েত থেকে প্রধান সঙ্গে বিডিও এসে এলাকা পরির্দশন করে যান এবং সরকারি বিধি এবং জনগণের হিতে অতি সত্বর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।যদিও আলিপুরদুয়ার 1 নং ব্লকের বিডিও জানান প্রথমত ডিমার্ককেশন করা হবে।তারপরই সমস্যা সমাধানের পথ বার হবে।



স্থানীয়দের অভিযোগ,শৈলেন দাস নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ির সামনে নিকাশি নালা তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন।ফলে অল্প বৃষ্টিতেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পরে।অপরদিকে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো গত তিনদিনের বৃষ্টিতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।জল জমলে তা না সুকোয় না আছে নিকাশি তাই জমা জলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৃষ্টি হচ্ছে।উপদ্রব বাড়ছে পোকা মাকড়ের।সাথে আশেপাশের চাষের জমিরও ক্ষতি হচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে বপন করা বীজও।এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের কাছে বহু বার অভিযোগ জানালেও আজও সমস্যার নিষ্পত্তি হয় নি।



অপরদিকে পূর্ববর্তি পঞ্চায়েত দের এক হাত নিয়ে বর্তমান পঞ্চায়েত রুপম দেবনাথ জানান,এ সমস্যা দীর্ঘ 40 বছরের পূর্বের পঞ্চায়েত এর সমাধান করেন নি।জেলা পরিষদের রাস্তা একরকম দখল করে রেখেছে অভিযুক্ত পরিবার।রুপম বাবু আরও জানান,তিনি পঞ্চায়েত প্রধান,জেলা পরিষদ এবং বিডিও কে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়েছেন।প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন।পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান বিপাশা রায় ও এলাকাবাসীর সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন।জমা জলে মশা,সাপের উপদ্রব কে তিনি উড়িয়ে না দিয়ে জানান,এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি যাতে কারোর অসুবিধে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে জনহিতে অতি সত্বর এলাকাবাসীকে এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।



এলাকাবাসীর সমস্যা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে আলিপুরদুয়ার 1 নং ব্লকের বিডিও অমরজ্যোতি সরকার জানান,বি এল আর ও এবং জেলা পরিষদের সহযোগিতায় উক্ত এলাকায় ডিমার্ককেশন করা হবে।এবং তারপর ই সমস্যায় সমাধানের উপায় বার হবে।যদিও এলাকবাসির কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ এগোনের কথা বলেন মাননীয় বিডিও।