কাশি হচ্ছে মানেই করোনা-তঙ্ক এমনটা নয়, ঘরোয়া টোটকাতেই প্রতিকার


তনোজিৎ সাহা, কোলকাতাঃ এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কেউ কাশলে বা নিজের কাশি হলেই মনের মধ্যে এক অদ্ভুত আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বা শুকনো কাশি মানেই সেটা করোনা সংক্রমণ হবে তার কোনও মানে নেই। বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী শ্লেষ্মা ফুসফুসের নালীতে জমে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় কাশির পরেও এই শ্লেষ্মা বের হয় না। এর ফলেই ফুসফুসে বিপজ্জনক সংক্রমণ শুরু হয়।


এবার জেনে নিন এই শুকনো কাশি থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া প্রতিকার বা টোটকা বলতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। গলা ব্যথা, গলায় ফোলাভাব, শ্বাসনালীর কোন প্রকার সংক্রমণ বা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলেই কাশির সৃষ্টি হয়। কাশির কার্যকর নিরাময় না হলে এই সমস্যাটি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যদি শুকনো কাশি হয়, তবে একটি ঘরোয়া প্রতিকারগুলি কাজে লাগাতে পারেন।


  • লবণ জল দিয়ে গার্গল গলার ফোলাভাব হ্রাস করে এবং শ্বাস নালীর উপর আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিও নাশ করে।
  • তোয়ালে জড়িয়ে গরম জলের ভেপার নিলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়।
  • ছয় থেকে সাতটি বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে খোসা ছাড়িয়ে এতে চিনি ও মাখন মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। শুকনো কাশি থেকে সহজেই রেহাই মিলবে।
  • পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে  সকালে এবং সন্ধ্যায় পান করলে আশ্চর্যজনক উপকার মেলে।  যষ্টিমধুও শুকনো কাশি কমাতে অব্যর্থ কাজ করে।
  • সকালে, বিকেলে ও সন্ধ্যায় এই তিন বেলা অন্তত দুই চামচ মধু চার দানা গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। এ ছাড়া এক কাপ আঙ্গুরের রসে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তি মেলে।
  • কাশি হলেই এবার করোনা-ভয় নয়। সুস্থ থাকুন সুরক্ষিত থাকুন।