বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে হামলা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
তনোজিৎ সাহা, সংবাদ একলব্য: বিজেপির এক নেত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। নেত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর করে গয়না ও টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুর গ্রামে। অভিযোগ, আউশগ্রামের ৫২ নম্বর মণ্ডল কমিটির বিজেপি সহ-সভানেত্রী শর্মিলা দাস অভিযোগ করেছেন, শনিবার তৃণমূলের তিন মহিলা কর্মী তাঁর বাড়িতে গিয়ে খুনের হুমকি দেয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। জোর করে বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা। শুধু তাই নয়, তাঁর কানের দুল ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের বাঁধা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যরা আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শর্মিলা।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। জানা গিয়েছে, গ্রামের দুই বিধবা মহিলা পূর্ণিমা বাউরি ও পাতু বাউরি ত্রিপলের জন্য স্থানীয় অমরপুর পঞ্চায়েতে যান। কিন্তু তাঁরা যে আবেদনপত্র জমা দেন তাতে স্থানীয় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের সই ছিল না। তাই তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে সেই আবেদনপত্র সই করিয়ে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তখন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি যান। কিন্তু তিনি তাঁদের আবেদনপত্রে সই করে দেননি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরে শুক্রবার শর্মিলা দাস ওই দুই মহিলাকে নিয়ে তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি যান। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় বলে খবর। ক্রমেই তা হাতাহাতিতে গড়ায়। শর্মিলাদেবী অভিযোগ করেন, 'দুই মহিলা যাতে ত্রিপল পান, তাই পঞ্চায়েত সদস্যকে আবেদনপত্রে সই করতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি সই তো করেননি, উলটে আমাদের খারাপ ভাষায় কথা বলেন।' দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শর্মিলাদেবীর অভিযোগ, সেই রাগ থেকেই শনিবার তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূল নেতারা প্রথমে ওই মহিলাদের হুমকি দেওয়ার জন্য ও তারপর দুষ্কৃতীদের তাঁর বাড়ি হামলা করার জন্য পাঠায়। তাঁর অভিযোগ, 'প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটবে।' থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। অমরপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, “এসব মিথ্যে অভিযোগ। বরং শর্মিলাদেবীর ছেলেরাই আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পেয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের রং দেখা হয়নি। তাহলে ত্রিপলের জন্য আমরা কেন ঝামেলা করব। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। মানুষই এর জবাব দেবে।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊