সারা বিশ্বে করোনা টিকা পৌঁছাতে ৮০০০ জাম্বো জেট চাই বলছে আইএটিএ




করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। দিনের পর দিন নতুন সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এদিকে সারা বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এদিকে, রাশিয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা জানিয়ে দিলেও সম্পূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা এখনও বাকি আছে বলেই জানা যাচ্ছে। সারা বিশ্বে জাঁকিয়ে বসা ভয়াবহ করোনার টিকা আবিষ্কার হয়ে গেলেই তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অতি অল্প সময়ে পৌঁছে দেওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জকে সহজতর করতেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বা আইএটিএ।



এরজন্য বিমান সংস্থা, বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ও ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বা আইএটিএ। ৮,০০০ বোয়িং ৭৪৭-এর সমতুল্য জাম্বো জেট চাই বলেই জানাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বা আইএটিএ।



বিশ্বে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ, এই পরিস্থিতিতে টিকা পরিবহণ করা অত্যন্ত কঠিন বলে তারা মনে করছে। টিকা বহনের বিমানের তাপমাত্রা ২ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হয়। আবার কোনও কোনও টিকা রাখতে হয় হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রায়। আইএটিএ-র কার্গো বিভাগের প্রধান গ্লাইন হিউজেস বলেছেন, এই সব খুঁটিনাটি তাঁদের ভালোভাবে জানা। এবার যেটা করতে হবে, তা হল গোটা প্রক্রিয়ার মাত্রা বাড়াতে হবে।



আবার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যে যে অংশে টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা নেই সেখানে এই টিকা পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। আবার কার্গো ক্যাপাসিটি কম থাকা, এলাকার বিশালতা এবং সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতার জেরে আফ্রিকার সর্বত্র টিকা পৌঁছে দেওয়া এই মুহূর্তে কার্যত অসম্ভব।