আড়াই ঘন্টায় তিনটি অপারেশন সফল বর্ধমানের সান হাসপাতালে 


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান


মাথার খুলি কেটে আড়াই ঘন্টার মধ্যে টিউমার সহ জটিল তিনটি অপারেশন সফল বর্ধমানের সান হাসপাতালের নিউরো সার্জেন্ট ডাক্তার নগনিত কুমার। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই অপারেশন গুলো হয়েছে বলে জানান সান হাসপাতালে কর্ণধার ডাক্তার মোঃ আলাজ উদ্দিন। 




এক সাংবাদিক সম্মেলনে সান হাসপাতালের কর্ণধার মোঃ আলাজউদ্দিন বাবু জানান সাম্প্রতিক দিন কয়েক আগে ব্রেইন টিউমার নিয়ে সান হাসপাতালে যোগাযোগ করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা জামালপুর থানার চক্ষণযাদি এলাকার যুবক ইজাবুল মল্লিক। মাথার জটিল রোগ নিয়ে আসেন বীরভূম জেলার রামপুরহাট মৃত্যুঞ্জয় পুর এলাকার বাসিন্দা ভলিনি বিবি। হেমাটাম রোগে আক্রান্ত হয়ে সান হাসপাতালে ভর্তি হন বীরভূম জেলা ইলাম বাজারের যুবক সোমনাথ কোনার। এদের প্রত্যেকেরই আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তিন জনেরই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করা হয় বর্ধমানের সান হাসপাতালে। 



এই ধরনের অপারেশন গুলো অত্যন্ত রিস্কি এবং ব্যয়বহুল। ব্রেন অপারেশনের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে,সেই অর্থে এই বৃহৎ অপারেশন সম্ভব নয়। এই ধরনের অপারেশনের জন্য আনুমানিক ৩-৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।শুধুমাত্র রোগীর কথা ভেবে মানুষের পাশে থাকতে মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যেই সান হাসপাতালে এই উদ্যোগ।



একই দিনে একই সঙ্গে পরপর তিনটি ব্রেন অপারেশন যা বর্ধমানের বুকে এবং গোটা চিকিৎসা মহলে একটা ইতিহাস।কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে একই সঙ্গে পর পর তিনটি ব্রেন অপারেশন করে না।৬ বছরের মধ্যে ৩২ টি ব্রেন অপারেশন এর মধ্যে ৩১ টি সফল বলে জানান আলাজ বাবু। এছাড়াও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে প্লাস্টিক সার্জারি ও স্পাইন সার্জারি করা হয় বলে তিনি জানান। 



ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইজাবুল বলেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাথায় যন্ত্রণা ভোগেন তিনি। এরপর মাসে এক দুবার খিচুনি হতো।এরপর সপ্তাহ দু তিন দিন বর্তমানে দিনে চার পাঁচ বার করে খিচুনি ও হাত পা অবশ হয়ে বর্ধমান অনাময়ে ভর্তি হন। সেখানেই ধরা পরে ব্রেইন টিউমার।অনাময় থেকে কলকাতার কথা বলেন চিকিৎসকেরা।