Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

লকডাউনেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা


লকডাউনেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা

রাজেন্দ্র নাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ  করোনা আবহেও কাজে কামাই নেই গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মশা বাহিত বা পতঙ্গ বাহিত রোগ প্রতিরোধে কাজ করছেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বা ভিআরপিরা। বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মশার লার্ভা নাশক স্প্রে করার কাজ সবই করে চলেছেন এই কর্মীরা। বুধবার লকডাউনের দিনও আশা কর্মী, গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা মাঠে নেমে আর পাঁচটা দিনের মতোই কাজ করলেন পুরোদমে। 


কান্দী মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়া, বানুর, শেখপাড়া, হরিনারায়ণপুর গ্রামে করোনা আবহের মধ্যেও মশাবাহিত বা পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে কাজ করছেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বা ভিআরপিরা। তাঁদের কাজ দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।



পারুলিয়া পঞ্চায়েতের গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বলেন,‘"অন্য দিনের মতোই আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি জমা জল নষ্ট করা, মশার লার্ভা নাশক স্প্রে করা সবই করেছি।"

সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠনের জেলা সম্পাদক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন বলেন,"আমরা যা ভাতা পাই তাতে সংসার চলে না। অথচ কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের সংক্রমণ ঘটলে তার দায় কে নেবে?’’

 লকডাউনের দিনে কাজ করতে হবে বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফলে বুধবার লকডাউনের দিনেওসারাদিন নিজেদের এলাকায় কাজ করলেন তাঁরা। খড়গ্রাম ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ ধল্ল বলেন,"ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ফলে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ ও মশার লার্ভা নাশক স্প্রে করার কাজ করছেন। তবে সতর্কতা অবলম্বন করেই তাদের কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code