গতকাল জাতীয় শিক্ষানীতির উপর ভাষণ দিতে গিয়ে একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ৩-৪ বছর ধরে ব্যাপক আলোচনা এবং লক্ষাধিক মতামতে ওপর চিন্তাভাবনা করে জাতীয় শিক্ষানীতিটি অনুমোদিত হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষানীতির উদ্দেশ্যই হল জাতীয় মূল্যবোধ এবং জাতীয় লক্ষ্যে যুবদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। নরেন্দ্র মোদী বলেন এদিন বলেন, এই নীতি নতুন ভারত, একবিংশ শতাব্দীর ভারতে ভিত্তি স্থাপন করেছে। ভারতকে শক্তিশালী করে তুলতে, উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং দেশের নাগরিকদের ক্ষমতায়ণের জন্য তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলা দরকার, যাতে তারা সর্বাধিক সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন পরিবর্তন হয়নি যা মানুষের অগ্রাধিকার ও মানসিকতাকে দুর্বল করেছে। আমাদের দেশের মানুষ কেবলমাত্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবি হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় লাভ, সক্ষমতা এবং চাহিদা এই তিনটি বিষয়ের ওপর কোন পরিকল্পনা নেই। আমাদের শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ জাগ্রত না হলে, শিক্ষার দর্শন, শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষ বুঝতে না পারলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাধারা কিভাবে বিকশিত হতে পারে সে প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতিতে শিক্ষার বিষয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত হয়েছে। এর লক্ষ্যই হল, আমাদের জীবন এবং অন্যান্য সকল জীবের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা।