মহান শিল্পীর জন্মদিন পালন কাগজের কোলাজে কৃষ্ণনগর চারুকলা সোসাইটির



প্রীতম ভট্টাচার্য, নদীয়া ঃ 

পিতা শেখ মহম্মদ মেসের আলি ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রী। কিন্ত লালমিয়ার কাছে তার বাবা ছিলেন একজন শিল্পী।ধরাবাঁধা নিয়মে শিক্ষালাভ ছিলো তার স্বভাব বিরুদ্ধ। পাখির মত মুক্ত প্রাণ নিয়েই যেন সুলতানের জন্ম। আজ বিশ্ববরেন্য চিত্রশিল্পী এস,এম সুলতানের ৯৬ তম জন্মদিবস।এই জন্মতিথিকে শ্রদ্ধায় সন্মানজ্ঞাপন করলো দুই বাংলার চিত্রশিল্পীরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে তার জন্মদিবস পালিত হচ্ছে।

এবছর কৃষ্ণনগর চারুকলা সোসাইটির সদস্যরা ঘরের মেঝেতে আট ফুটের কাগজের কোলাজ করে তাকে নান্দনিক শ্রদ্ধা জানায়। এস এম সুলতান (লাল মিয়া) জন্মগ্রহন করেন ১৯২৩ সালের ১০ ই অগাষ্ট এক কৃষক পরিবারে বাংলাদেশের নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে।তিনি কলকাতা সরকারী মহাবিদ্যালয়ে আঁকার পাঠ নেন বছর কয়েক।একবার আশুতোষ মুখার্জীর ছেলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী নড়াইলে ভিক্টোরিয়া কলিজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে এলে তাঁর ছবি এঁকে খুব প্রশংসিত হন লালমিয়া।তিনি একদিকে ছিলেন সুরসাধক ও খুব ভালো বাঁশি বাজাতেন।তার প্রচুর আঁকা ছবি বিদেশ ও দেশে প্রশংসিত হয়।তাকে নিয়ে এখন বিভিন্ন গবেষণা করছে এসএম.সুলতান অর্গানাইজেশন। 

কৃষ্ণনগর চারুকলা সোসাইটির সদস্যরা এই মহান শিল্পীর জন্মদিনকে বিশেষভাবে উদযাপন করার জন্য বাংলাদেশের এস.এম সুলতান অর্গানাইজেশন সহযোগীতার মেলবন্ধনে দুই বাংলার শিল্পের নান্দনিক মেলবন্ধন ঘটলো আজ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে।