রামদেবের পতঞ্জলিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের
কিছুদিন আগে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে করোনা প্রতিষেধক তৈরির কথা জানানোর পাশাপাশি ঔষধের নামও প্রকাশ করে পতঞ্জলি। 'করোনিল' নামক একটি ঔষধকে করোনার প্রতিষেধক বলে দাবি করে। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। পরে জানা যায়, উত্তরাখণ্ড ড্রাগ ডিপার্টমেন্টের কাছে তাঁরা কেবলমাত্র ইমিউনিটি বৃদ্ধি ও জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের লাইসেন্স নেন। পরে অবশ্য উত্তরাখণ্ড ড্রাগ দফতর নোটিশ পাঠায়। এরপর পতঞ্জলি তড়িঘড়ি জানায়, 'আমরা করোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করিনি। করোনা কিট বলেও আমরা কোনও ওষুধ বাজারে আনিনি। বরং 'দিব্যা শ্বাসরি ভাতি, 'দিব্যা করোনিল ট্যাবলেট', 'দিব্যা অণু তেল'- এই তিনটি একটি প্যাকেটে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।'
জল গড়িয়েছে অনেকদূর। চেন্নাইয়ের এক সংস্থা পতঞ্জলির এই করোনিল নামের ব্যবহার নিয়ে আদালতে মামলা করে। সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৯৯৩ থেকে তারা এই ট্রেডমার্ক ব্যবহার করছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই পতঞ্জলিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুধু জরিমানাই নয়, পতঞ্জলি’-র ওষুধে ‘করোনিল’ নামটি ব্যবহার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্ট পতঞ্জলি-র নিন্দা করে বলেছে, করোনিল সর্দি-কাশির প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্ষম, কিন্তু করোনা নয়।
বিচারক সিভি কার্তিকেয়ন বলেন, ‘পতঞ্জলির দাবি, ওঁরা ১০ হাজার কোটি টাকার সংস্থা। অথচ সাধারণ মানুষের মনে করোনা নিয়ে ভয়-আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখতে চাইছে। করোনাভাইরাসের ওষুধ বলে যেটি তারা দাবি করছে, সেই করোনিল ট্যাবলেট করোনা সারাতে পারে না। এটি শুধু সর্দি, কাশি ও জ্বরের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি বাড়ায় মাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ট্রেড-মার্ক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অতি সহজেই যাচাই করে নেওয়া যেত। যদি তারা তা যাচাই না করে থাকে বা যাচাই করার পরেও এই নাম ব্যবহার করে থাকে তা হলে কোনও ভাবেই তা হাল্কাভাবে নেওয়া যায় না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊