দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করে ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটকও। 

ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন TikTok ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গান্ধী। নিখিল জানান, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার বিষয়টি মেনে চলছে TikTok।

TikTok-এর চিফ এগজিকিউটিভ এবং ByteDance-এর চিফ অপারেশন ম্যানেজার কেভিন মায়ার জানান, সংস্থা ব্যবহারকারীদের কোনও তথ্য চিনের সরকার বা অন্য কোনও বিদেশি সরকারের সঙ্গে কখনওই দেয়নি। কোনোদিন দেবেও না। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং অখণ্ডতাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় তাঁরা। 

ByteDance কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতে TikTok নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে সংস্থা প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখোমুখি হতে চলেছে। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই চিন থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে TikTok। জানা যাচ্ছে, বিশ্বের সমস্ত ইউজারের কাছে নিজের জায়গা ফিরে পেতে চাইনিজ রুটগুলি থেকে সরে যেতে চায়।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য আইনের দ্বারস্থ না হয়ে আগে তারা ভারত সরকারের সাথে কথা বলতে চায়। সূত্রের খবর সরকারকে একটি চিঠি লিখেছেন টিকটকের চিফ এক্সিকিউটিভ কেভিন মায়ার। চিঠিতে লিখেছেন, তিনি নিশ্চিত চীনা সরকার সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো ভারতীয় টিকটক ইউজারের ডেটা চায়নি। সিঙ্গাপুরের সার্ভারে ভারতীয় ইউজারদের সুরক্ষিত আছে। ভবিষ্যতে যদি কখনো চীন সরকার এরকম কোনো দাবি করে, সংস্থাটি কখনোই তা পূরণ করবে না। ইউজারদের গোপনীয়তা এবং ভারতের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব তাদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সূত্রের মতে এই নিষেধাজ্ঞা এক্ষুনি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। 

এদিকে আইনজীবিরা বলছেন আইনীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ ভারত সরকার জাতীয় সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে।

TikTok চিনা অ্যাপ হলেও সে দেশেই চলে না এই অ্যাপ। ২০১৩ সালে চালু হওয়ার পর ভারতের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছিল টিকটক। বিশ্বে TikTok-এর মোট ইউজারের ৩০ শতাংশই ভারতে। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতে TikTok-এর ইউজার সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি।