ফেসবুক গ্রুপের সহযোগিতায় ঝাড়গ্রাম জেলার কুলটিকরিতে ৩০০ চারাগাছ বিতরণ

 শচীন পাল, ঝাড়গ্রামঃ 

ঝাড়গ্রাম জেলার পাটাশোল এলাকায় সবুজায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন দিন ধরে বৃক্ষরোপণের মূল পরিকল্পনা ও উদ্যোগে রয়েছেন বৃক্ষ ও পরিবেশ প্রেমী তথা স্থানীয় এলাকায় সবুজায়নের অন্যতম মূল কান্ডারী কুলটিকরি এস সি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক গৌরসাধন দাস চক্রবর্তী। আর তাঁকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে স্থানীয় উৎসাহী এলাকাবাসীরা। এবার এই মহৎ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো ফেসবুক গ্রুপ "আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব।"

আরো বেশি করে সবুজায়নের লক্ষ্যে সুবর্ণ রৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক ফেসবুক  "আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব" এর সহযোগিতায় রবিবার সকালে চারাগাছ বিতরণ করা হলো ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরির পাটাশোল সংলগ্ন এলাকায়। সামাজিক বনসৃজনের কুলটিকরি মডেলের আজকের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শুভানুধ্যায়ী দন্ত চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল দাস। "আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব" গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের অন্যতম মডারেটর শিক্ষক সুমন মণ্ডল, সদস্য শিক্ষক  দীপক জানা, অভিনন্দন রাণা, বিশ্বজিত রায়, দেবব্রত পাল প্রমুখ। 

সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে এদিন স্থানীয় এলাকার পড়ুয়াদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। পরিবেশ,,সমাজ ও পরিবারের রক্ষায় প্রতিটা পরিবারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গাছ লাগাবে ও সেই গাছকে নিজের ভাইবোনের মত যত্ন নিয়ে বড় করে তুলবে এই শপথ নিয়েছে কচিকাঁচারা। এদিন মূলতঃ ১০০ টি আদিবাসী পরিবারের শিশু ও তাদের পরিবারের বড়দের হাতে ৩০০ টি চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেককে একটি করে আম,শাল ও কাজু গাছের চারা দেওয়া হয়। গ্রুপের পক্ষে বিশ্বজিৎ পাল ও সুদীপ কুমার খাঁড়া জানান তাঁরা আগামী দিনে সবুজায়নের পক্ষে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন এবং সবুজায়নের পক্ষে প্রচার চালাবেন।