শুক্রবার আয়কর বিভাগ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সময়সীমা বাড়িয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য টিডিএস, টিসিএস তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা 21 জুলাই, 2020 পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য টিডিএস / টিসিএস শংসাপত্র জমা করার তারিখও ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আয়কর দফতর টুইট করে জানিয়েছে, "আমরা যে বর্তমান সময়ে আছি তা বুঝতে পেরে আমরা আরও সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য টিডিএস / টিসিএসের বিবরণী প্রেরণ ৩১ জুলাই, ২০২০ এবং টিডিএস / টিসিএস শংসাপত্র জমা করার তারিখ 15 ই আগস্ট, 2020 এ প্রসারিত করা হলো । "

একই সাথে আয়কর দপ্তর জানিয়েছে -

  • রিফান্ডের ক্ষেত্রে সরাসরি করদাতাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • আয়কর ফেরতের জন্য ১৯,০৭,৮৫৩ জন করদাতার জন্য সর্বমোট ২৩,৪৫৩.৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • কর্পোরেট করদাতাদের ক্ষেত্রে ১,৩৬,৭৪৪ জন করদাতার জন্য ৩৮,৯০৮.৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে করদাতাদের প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর জন্য আয়কর বিভাগের কাছে আর অনুরোধ জানাতে হয়না। নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে করদাতারা তাদের রিফান্ড বাবদ প্রাপ্য অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই পেয়ে যান।
  • কোভিড-১৯ মহামারী জনিত পরিস্থিতিতে করদাতাদের সাহায্য করার জন্য বকেয়া আয়কর রিফান্ড দ্রুত মিটিয়ে দিতে গত ৮ই এপ্রিল সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আয়কর বিভাগ গত ৮ই এপ্রিল থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত প্রতি মিনিটে ৭৬টি করে কর রিফান্ড হিসেবে মিটিয়ে দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে শনি ও রবিবার বাদে ৫৬ টি কাজের দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) ২০ লক্ষ ৪৪ হাজারের বেশি ক্ষেত্রে রিফান্ড হিসেবে ৬২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা কর দাতাদের মিটিয়ে দিয়েছে।
  • আয়কর দপ্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার  বাড়ানোর সুফল হিসেবে করদাতারা আয়কর রিফান্ডের ক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বলে আয়কর দপ্তর জানিয়েছে। 


প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের পক্ষ থেকে পুনরায় বলা হয়েছে করদাতাদেরকে আয়কর বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া ই-মেল গুলির দ্রুত জবাব দিতে, যাতে রিফান্ড বাবদ প্রাপ্য অর্থ দ্রুত যাচাই করে সঠিক পদ্ধতি মেনে মিটিয়ে দেওয়া যায়। আয়কর বিভাগের এ ধরণের ই-মেলগুলিতে সংশ্লিষ্ট করদাতার কাছ থেকে বকেয়া দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে তথ্য যাচাই, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং রিফান্ড দেওয়ার আগে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়ার জন্য ই-মেলগুলি পাঠানো হয়। তাই সংশ্লিষ্ট করদাতার কাছ থেকে দ্রুত জবাব পাওয়া গেলে আয়কর বিভাগের রিফান্ড মেটানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে বলে আয়কর দপ্তর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে