করোনা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত। আর গবেষণায় উঠে আসছে একে একে নতুন তথ্য, ফলে বাড়ছে উদ্বিগ্ন। কিছুদিন আগেই এক দল বিজ্ঞানীর দাবি করোনা বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। 


এতদিন হু জানিয়েছিল করোনা হাঁচি, কাশির ফলে বেরিয়ে আসা ড্রপলেট থেকে জীবাণু অন্যের শরীরে ছড়ায়। কিন্তু এবার ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তাঁদের হাতে পাথুরে প্রমাণ রয়েছে, যে করোনার আরও ছোট কণা বায়ুবাহিত হয়ে মানব শরীরে ঢুকতে পারে। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র সুপারিশ বদলানোর অনুরোধও করেছেন তাঁরা।ইনফেকশন ডিজিজ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেই চিঠি। এরপরই নোভেল করোনাভাইরাসের বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত উঠে আসা তথ্যপ্রমাণকে স্বীকৃতি দিল হু।

এই পেপারে স্বাক্ষর করেছিলেন কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট জোসে জিমেনেজ। তিনি বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে, তাকে মান্যতা দেওয়া হোক, এমনটাই তাঁরা চাইছেন। তিনি আরও জানান, হু-কে কোনওভাবেই নিশানা করা হচ্ছে না। এটা বিজ্ঞানসম্মত বিতর্ক। কিন্তু বহু আলাপচারিতার পরও তারা ওই প্রমাণ শুনতে অস্বীকার করায় আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার প্রয়োজন অনুভব করি।

মঙ্গলবার জেনেভায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হু-র সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল লিড বেনেডেট্টা আল্লেগ্রাঞ্জি বলেছেন, করোনাভাইরাসের বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর প্রমাণ উঠে আসছে। তবে তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেছেন, জনবহুল স্থান-বিশেষ করে নির্দিষ্ট পরিস্থিতি, ভিড়ে ঠাসা, আবদ্ধ স্থান, বাতাস চলাচলের সুবিধাহীন স্থান, এমন ক্ষেত্রে বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এ সংক্রান্ত প্রমাণ সংগ্রহ ও তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।