গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ১৮ দিন পর চলতি উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার সকালে লে-লাদাখ ও অন্যান্য স্থান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লাদাখে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে অস্থির অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লে-তে প্রতিরক্ষা কর্মী (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে পৌঁছান। পরিদর্শনে গিয়ে জওয়ানদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বীরত্বকে সারা দেশ কুর্ণিশ জানাচ্ছে। আপনাদের বীরত্বের কাহিনী ভারতের ঘরে ঘরে ধ্বনিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংকল্প হিমালয়ের মতোই সুউচ্চ। আপনাদের সামর্থ্য আপনাদের চোখেই দেখা যায়। আপনাদের সাহস আপনারা সেখানে মোতায়েন, তার থেকেও অনেক উঁচু।আপনারা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দেন। তা দেশবাসীকে দিনভর কাজ করতে প্রেরণা দেয়। আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প আপনাদের ত্যাগ, বলিদান ও পুরুষার্থের কারণে আরও শক্তিশালী হয়।

গালওয়ানে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ১৪ কোরের বীরত্বের কাহিনী সবাই জানে। দেশের সব প্রান্তের বীররা গালওয়ানে নিজেদের শৌর্য দেখিয়েছেন ।গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি । আপনারা ও আপনাদের সহকর্মীরা যে বীরত্ব দেখিয়েছেন, তাতে সারা বিশ্বের কাছে ভারতের শক্তির বার্তা পৌঁছে গিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বংশীধারী কৃষ্ণের পুজো করি। আবার সুদর্শন চক্রধারী অবতারকেও আদর্শ মনে করি। এ ধরণের আক্রমণে ভারত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। দুর্বল কখনও শান্তির উদ্যোগ নিতে পারে না। শান্তির পূর্ব শর্তই হল সাহসিকতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ এখন জল, স্থল ও আকাশে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে। এর একমাত্র লক্ষ্য মানব কল্যাণ। বিশ্বযুদ্ধই হোক বা শান্তি সবাই দেশের বীরদের পরাক্রম দেখেছে এবং বিশ্বশান্তির জন্য আমাদের প্রয়াসও সবাই দেখেছেন।

আজ সকালে লাদাখ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী এবং ১১ হাজার ফুট উঁচুতে দুর্গম এলাকা নীমুতে যান। সেখানে সেনা, বায়ুসেনা ও আইটিবিপি আধিকারিকদের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শোনেন ।

নাম না করে চিনকে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রসারণবাদের দিন শেষ। এটা উন্নয়নের কাল। সম্প্রসারণবাদী শক্তিগুলি হয় হেরে গিয়েছে বা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। ইতিহাস এর সাক্ষী।