রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) জানিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতেই হবে।
করোনা পরিস্থিতির জন্য ডিএ দেওয়ায় সমস্যার কথা রাজ্যের পক্ষে জানানো হলে স্যাট বলে এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করে দেখা হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে বুধবার ডিএ মামলার রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও প্রশাসনিক সদস্য সুবেশকুমার দাস।
সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। তিন মাসের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরে মূল্য সূচকের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট। কিন্তু তিন মাস পেরোলেও রাজ্য সরকার, কর্মচারীদের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হলেও বকেয়া ডিএ দেওয়া হবে ঘোষণার পর সরকারের উপরে নিঃসন্দেহে এই রায় বড় চাপ তৈরি করল। করোনা পরিস্থিতির জন্য আগামী দেড় বছর কেন্দ্র কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়াবে না বলে জানানো হয়েছিল। তবে গত ১ জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা হয়। কেন্দ্রের ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ২১ শতাংশে পৌঁছায় বলে দাবি বিভিন্ন সংগঠনের।
স্যাটে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই সরকারের।
মুখ্যমন্ত্রীও এর আগে একাধিকবার বলেন যে, 'আমার পক্ষে আর দেওয়া সম্ভব নয়। তোমরা সবসময়ই এই দাও, ওই দাও করছ। সবটাই সরকার যেন বিনা পয়সায় করে দেবে! সরকারের টাকার অবস্থা ভাল নয়। চাইলেই টাকা পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকটা খরচ আগে থেকে ভেবে করতে হবে। আট বছর আগে মাসের এক তারিখে মাইনে হত না। এখন হয়। আট বছরে গোটা রাজ্য ঘুরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি'।
কিন্তু এদিনের রায় এক প্রকারের চাপে ফেলে দিল রাজ্য সরকারকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊