অনেকদিন ধরেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনার পরিকাঠামো ও বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছিল। কিন্তু লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চীনা আক্রমনের পর আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। কারণ চীন স্ট্র্যাটেজির মোকাবিলায় এই স্বীপপুঞ্জের অবস্থান অনেক গ্গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। বিশেষত ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চিন। এই বিষয়ের জন্যই এই সতর্কতা। 

২০০১-এ প্রথম আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই এখনও পর্যন্ত দেশের প্রথম এবং একমাত্র থিয়েটার কম্যান্ড, যেখানে আর্মি, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা একটিই অপারেশনাল কম্যান্ডারের অধীনে রয়েছে। এবার সেখানে বাড়তি সতর্কতা স্বরূপ উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের (INS Kohassa) রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ক্যাম্পবেল বে-তে আইএনএস বাজের (INS Baaz) রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। বড় যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য। 

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা পরিকাঠামো বৃদ্ধির পরিকল্পনায় মোট ৫৬৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। ২০২৭ সালের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে বলে সূত্রের খবর। আগামী বছরের মধ্যেই এই সদ্বীপুঞ্জে যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি তৈরী হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।