একুশের নির্বাচনের(election) আগে দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান চাইছে কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারী ও তাদের পরিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা, সংবাদ একলব্যঃ
বিগত বাম আমল থেকে বঞ্চিত কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা। বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যাটা শুধুমাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তাদের কোন সরকারী স্বীকৃতি, কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা এমনকি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নাই। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য একাধিক আন্দোলন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোন পদক্ষেপ নাই।
কলেজগুলোতে স্থায়ী কর্মীর অভাব বুঝতে দেয়নি এই সকল ক্যাজুয়াল বা অস্থায়ী কর্মচারীরা। দিনের পর দিন সামান্য পারিশ্রমিকে লাইব্রেরী থেকে ল্যাবরেটরী সহ অফিসের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ নিঃশব্দে করে চলা এই সকল কর্মচারীদের ভবিষ্যত আজ অন্ধকারচ্ছন্ন।
কলেজের গভর্নিং বডি দ্বারা নিয়োগ হওয়া পার্ট টাইম টিচার্স, গেষ্ট টিচার্সদের সরকার স্বীকৃতি নিরাপত্তা এমনকি বেতন প্রদান করলেও, সেই একই গভর্নিং বডি দ্বারা নিয়োগ হওয়া শিক্ষাকর্মীরা আজও বঞ্চিত। একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই ছাদের তলায় কর্মরত হয়েও শিক্ষাকর্মীদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির রাজ্য সহ সভাপতি সব্যসাচী গুছাইত।
সব্যসাচী বাবু আরও বলেন- "উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট সদ্য প্রকাশিত। এরপর কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। কলেজ কেন্দ্রিক ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় পরিষেবা এই সকল কর্মচারীরা প্রদান করলেও, তারা তাদের দাবীর প্রতি অনড়। তারা মনে করেন তাদের কাজের সরকারী স্বীকৃতি ও নিরাপত্তার দাবী ন্যায্য ও যুক্তিসংগত। কলেজ খুললেই বড় ধরনের আন্দোলন সংগঠিত করার লক্ষে অবিচল সংগঠনের নেতৃত্বরা।"
আগামী দিনে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই আন্দোলনে নামলে বিঘ্ন ঘটবে কলেজ কেন্দ্রীক শিক্ষাব্যবস্থা বলে শিক্ষাবিদদের ধারনা। তবে নিরুপায় হয়ে, জীবন জীবিকার স্বার্থে তাদের এই আন্দোলন বলে জানান সংগঠনের একাধিক নেতৃত্ব। তবে ২১শের নির্বাচনের আগে দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান চাইছে কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারী ও তাদের পরিবার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊