সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা জবাবে ৪৩ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার হামলার রেশ পড়তে চলেছে এবার শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের ওপরও।

জানা গেছে, ভারতের বিভিন্ন সংগঠন মোবাইল ফোন-চার্জার-পোশাক, বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের মতো বিভিন্ন চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক দিচ্ছে। এই ঘটনার জেরেই বিএসএনএল-এমটিএনএলে চিনা যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

বুধবার রাতের দিকে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ৪জি পরিষেবায় ব্যবহার করা যাবে না চিনা যন্ত্র। বলা হয়েছে, দেশীয় সংস্থার থেকেই নিতে হবে যন্ত্র। চিনা সংস্থাকে এড়িয়ে নতুন করে টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। লাদাখে চিনা হামলার পরেই নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের।

সরকারী পরিষেবা সরবরাহকারীদের শর্তগুলি এমনভাবে পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে যাতে চীনা সংস্থাগুলি দরপত্র কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারে। সংস্থাগুলি টেলিকম সরঞ্জামের আগের সমস্ত দরপত্র বাতিল করতে বলা হয়েছে। বেসরকারী মোবাইল পরিষেবা সরবরাহকারীদের যে কোনও বিদ্যমান চীনা সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার এবং নতুন যে কোনও ক্রয় নিষিদ্ধ করার জন্যও নির্দেশনা জারি করা হবে। 

বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ৪জি পরিষেবার জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাকেও একই নির্দেশ দেওয়ার ভাবনা রয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।

এদিকে, কনডেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডারস (সিএআইটি) কসমেটিকস, ব্যাগ, খেলনা, আসবাব, ফুটওয়্যার ডিএন ঘড়ি সহ ৪৫০ টি আমদানি করা আইটেমের তালিকা তৈরি করে চীনা পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।