- ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা
- প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড
- জিএনএস সায়েন্স এর নকশাও প্রকাশ করেছে
- টেকটোনিক ও ব্যাথিমেট্রিক নকশা প্রস্তুত
- অষ্টম মহাদেশের সম্ভাব্য মানচিত্র ও ক্ষেত্রফল জানানো হয়েছে
- এই মহাদেশ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৩৮০০ ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে
ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি মহাদেশ সাতটি। ভূগোলের প্রতিটি বইয়ে রয়েছে সাতটি মহাদেশের উল্লেখ। কিন্তু এবার অষ্টম মহাদেশ আছে বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। তা কি মেনে নেওয়া যায়? মেনে নেওয়া না গেলেও সত্যি। এবার খুঁজে পাওয়া গেছে পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ। ১৯৯৫ থেকে গবেষণা করছিলেন এবং তিন বছর আগে ২০১৭-তে তা সম্পূর্ণ হয়। তবে, এই মহাদেশ বহু বহু বছর আগে তলিয়ে গেছে সমুদ্রে। সমুদ্রে অতলান্তে লুকিয়ে থাকা এই অষ্টম মহাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। যার নাম জিলান্ডিয়া।
নিউজিল্যান্ডের বৈজ্ঞানিকরা এর সম্ভব্য নকশাও তৈরি করে ফেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএনএস সায়েন্স এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিলেন। জিএনএস সায়েন্স এর নকশাও প্রকাশ করেছে।এই প্রথমবার এই অষ্টম মহাদেশের সম্ভাব্য মানচিত্র ও ক্ষেত্রফলের মতো তথ্যও জানানো হয়েছে। এই মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে নিউজিল্যান্ডের ঠিক উত্তরে এর সঙ্গে সংলগ্ন। রিপোর্ট অনুসারে, এই মহাদেশ প্রায় আড়াই কোটি বছর আগে মহাসমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল।
যে নকশা প্রকাশ হয়েছে তা দেখে বোঝা যায় মহাদেশে মাঝখানের একটা অংশ ডোবেনি, ভেসে আছে, যাকে অধুনা নিউজিল্যান্ড বলা হয়। নিউজিল্যান্ডের বৈজ্ঞানিকরা এই মহাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এর টেকটোনিক ও ব্যাথিমেট্রিক নকশা প্রস্তুত করেছেন। তাঁদের অনুমান, এর আয়তন ছিল প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের মতো।
গবেষণা অনুসারে, এই মহাদেশ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৩৮০০ ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে। যদিও লর্ড হাউ রাইজে বলস পিরামিড নামে এর একটি পাহাড় সমুদ্রের ওপরে বেরিয়ে রয়েছে। অনুমান করা যায় যে, সমুদ্রের ভেতর একটা বড় ভূখণ্ড ডুবে রয়েছে।
আমরা এই মানচিত্রগুলি নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূতত্ত্বের একটি নির্ভুল, সম্পূর্ণ এবং আপ টু ডেট চিত্র সরবরাহ করতে তৈরি করেছি। নিক মর্টিমার, একজন ভূতত্ত্ববিদ এবং মানচিত্রের প্রধান লেখক একথা জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊