সুরশ্রী রায় চৌধুরী, কলকাতাঃ

৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। মানুষকে বাঁচতে হলে বাঁচাতে হবে পরিবেশ। ধরিত্রীর বুকে বাঁচতে হলে গড়তে হবে সবুজ। 

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে টুইট করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানান, আম্ফানের দাপটে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে পরিবেশের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার গাছ পড়ে গিয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে রাজ্যের বুকে সবুজকে আবার ফিরিয়ে আনতে। জীবন বাঁচাতে গেলে সবুজ বাঁচাতেই হবে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী নতুন এক শ্লোগানও শুরু করেছেন, 'সেভ গ্রিন সেভ লাইফ।'
pic source: cm fb page

দক্ষিণ কলকাতায় নিজের হাতে গাছ পুঁতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সবুজায়নের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা ঘটাবেন আজ। এই বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়েই রাজ্য জুড়ে গাছ লাগানোর প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে। 

আগামী ১ মাস ধরে সুন্দরবনে চলবে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণের কাজ চলবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতিবছরই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী দেশ গুলিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বছরের আয়োজক হল জার্মানি, সঙ্গে জুটি বেঁধেছে কলম্বিয়া। তবে এই বছর, কোভিড 19 মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমেই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করবে বলে ঠিক করেছে। লকডাউন মানুষের জীবন বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ঠিকই, তবে লকডাউন পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। 

জাতিসংঘ ১৯৭২ সালের ৫ জুন প্রথমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তার পর থেকে প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। ১৯৭২ সালে, প্রথম জাতিসংঘ স্টকহোমে (সুইডেন) পরিবেশ ও দূষণ সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনের আয়োজন করে। তাতে প্রায় ১১৯ টি দেশ অংশ নিয়েছিল। এরপর থেকেই ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হতে শুরু করে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০ এর মূল লক্ষ পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।

বিগত কয়েক বছর বিশ্বে পরিবেশ দূষণের সমস্যা ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে। মানুষ তাদের সুবিধার জন্য সংস্থান তৈরি করেছে, আর তার জন্য ধ্বংস করেছে পরিবেশকে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ একত্রিত হয়ে সমস্যার মোকাবিলা করা। পরিবেশ সম্পর্কে প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন করা।