করোনা আবহের মাঝেই কেন্দ্র ও রাজ্যের উদ্যোগে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকেরা ঘরে ফিরছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ভিন রাজ্য থেকে আসতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছে কিনা থাকছে সন্দেহ। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনেই গড়ে উঠেছে কোয়ারাইন্টাইন সেন্টার, সেখানেই রাখা হচ্ছে ভিন রাজ্য ফেরত মানুষদের। 

সীমান্তবর্তী এলাকা দিনহাটা মহকুমার অন্তর্গত শুকারুর কুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুর্শাহাট হাইস্কুলে ৭দিন আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলেন প্রশাসন।সেই সেন্টারে ৭৬জন ভিন রাজ্য থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। চৌধুরীহাট ও নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এর মোট ৩০জন ও বাকি সব পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি শুকারুর কুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এর ধরাইখানা ও নগর কুর্শার গ্রামের বলে জানা যায়। কিন্তু তার দুইদিন যেতে না যেতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে লোক উধাও। 

পেশায় শিক্ষক মজনু সেখ এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের উদাসীনতার কথা বলেন। তিনি বলেন, কুর্শাহাট স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হলেও সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জন্য কোন ব্যবস্থা করেননি প্রশাসন । নেই বিদ্যুৎ বা ব্যবহার যোগ্য শৌচাগার। শ্রমিকরা দুই দিন থাকলেও তাদের জন্য খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়নি।

এই ভাবে মাত্র দুই দিনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার উঠে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষদের মধ্যে যেমন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি ভীতির পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনহাটা এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী এই দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা যে নতুন করে এক বিপদ সৃষ্টি করবে তা স্পষ্ট।