করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি হওয়া লক ডাউন এখন আনলক পর্যায়ে। আনলকের প্রথম পর্যায়ে খুলছে রেস্তরাঁ। তবে রেস্তরাঁ খুলতে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। এর জন্য কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় গুলি হল-
- 'টেক অ্যাওয়ে'-র ব্যবস্থা করতে হবে।
- রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফে ডেলিভারিম্যানদের নিয়মিত থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে
- রেস্তরাঁয় ঢোকার সময়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা এবং থার্মাল স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- করোনার কোনও রকম উপসর্গ না থাকলে তবেই কাজ করতে বা খেতে আসা যাবে রেস্তরাঁয়।
- অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- রেস্তরাঁর বিভিন্ন জায়গায় কোভি ১৯ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম ও গাইডলাইন লেখা পোস্টার, ছবি সেঁটে রাখতে হবে, যাতে ভাল ভাবে সকলে দেখতে পান।
- সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্বের বিধি পুরোপুরি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত কর্মীর ব্যবস্থা করতে হবে।
- যে সমস্ত রেস্তরাঁ কর্মীর কোভিড ঝুঁকি বেশি তাঁদের অতিরিক্ত নজরে রাখতে হবে। সামনের সারিতে থেকে তাঁরা যেন কাজ না করেন। সরাসরি কারও সংস্পর্শে না আসেন। যাঁদের পক্ষে সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করা, তাঁরা যেন তাই করেন।
- পার্কিং লটে এবং রেস্তরাঁর সামনের চত্বরে ভিড় সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- পার্কিং কর্মীদের মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে হবে। গাড়ির দরজা, চাবি- এসব ব্যবহারের সময় স্যানিটাইজ় করতে হবে নিয়ম মেনে।
- ঢোকা এবং বেরোনোর আলাদা গেটের ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল হয়।
- রেস্তরাঁর ভেতরে বসার ক্ষেত্রে বা বাইরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে পরস্পরের সঙ্গে অন্তত ছ'ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- রেস্তরাঁয় যত আশন, তার ৫০ শতাংশ সংখ্যক মানুষ বসে খেতে পারবেন একসঙ্গে।
- মেনুকার্ডগুলি ডিসপোজ়েবেল করতে হবে।
- কাপড়ের ন্যাপকিনের বদলে পেপার ন্যাপকিন রাখতে হবে।
- বুফে সার্ভিস চললে সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- লিফ্টে ওঠা মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- এসক্যালেটরে উঠতে হলে এক একটা ধাপ ছাড়া ছাড়া দাঁড়ানো ভাল।
- ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসি চালাতে হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায়।
- বড় জমায়েত কোনও ভাবেই অনুমোদিত নয়।
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খাওয়ার জায়গা, হাত ধোয়ার বেসিন, শৌচালয়- সব স্যানিটাইজ় করতে হবে।
- সংস্পর্শ ছাড়া অর্ডার নেওয়া এবং ডিজিট্যালি বা অনলাইনে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রতিটি ক্রেতা খেয়ে ওঠার পরে টেবিল স্যানিটাইজ় করতে হবে।
- কিচেনেও সামাজিক দূরত্বের বিধি ও স্যানিটাইজেশনের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- বাচ্চাদের খেলার কোনও জায়গা খোলা রাখা যাবে না।
তবে, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊