credit: reuters

সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 


গোটা পৃথিবী এখন মুখোশের আড়ালে। অজানা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে একমাত্র মাস্ক। তাই মানবকুল নিজের মুখ ঢেকেছে মাস্কের আড়ালে। সমস্ত দেশেই প্রায় বাধ্যতামূলক করেছে মাস্কের ব্যবহার। বাড়ির বাইরে পা রাখতে গেলে ছাতা, ঘড়ি, জলের বোতল, টাকার ব্যাগের পাশাপাশি অবিচ্ছেদ্য হয়ে পড়েছে মাস্ক। সাথে রয়েছে গ্লাভস, স্যানিটাইজারের বোতলও।  একইসঙ্গে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার।

সম্প্রতি এক ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। সমুদ্র তলদেশ থেকে উদ্ধার হচ্ছে করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী। ব্যবহারের পর তা ছুড়ে ফেলা হচ্ছে সমুদ্রে । Opération Mer Propre নামের এক ফরাসি সংস্থা সম্প্রতি এমনই কিছু ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 


অধিকাংশ মাস্কই ব্যবহৃত হচ্ছে ইউস অ্যান্ড থ্রও। আর অসচেতন কিছু ব্যক্তি এই জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেও বেছে নিয়েছে প্রকৃতি দূষণের নয়া পন্থা। রাবারের গ্লাভস এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন শহরের আনাচে কানাচে পড়ে থাকছে মাস্কের জটলা। 

এই মাস্ক থেকেই সংক্রমণের ভয় থাকছে। কারণ একদিকে যেমন সাফাই কর্মীরা অজান্তে মাস্ক কে তুলে সংক্রমিত হতে পারে অন্য দিকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবহৃত মাস্কের সংহস্পর্শে এসে সংক্রমনিত হতে পারে।

তাই যত্র তত্ৰ মাস্ক ফেলা যাবে না সেই রকমই ব্যবস্থা করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। 

মাস্ক ফেলতে গেলে সাফাইকর্মী কে বলে ফেলতে হবে। যাতে সে সাবধান হয়ে যায়। অথবা ডাস্টবিনে মাস্ক ফেলতে হবে। নিয়ম না মানলে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।


কিছু দিন আগে হংকং এর বিভিন্ন উপকূলে এসে জমা নানান রঙের মাস্কের ছবি সামাজিক মাধ্যমের নজর কাড়ে। একদল পরিবেশ বিশেষজ্ঞের মতে,এই রকম রং বেরং মাস্ক আগামীদিনে সামুদ্রিক প্রাণীদের পেটেও পাওয়া যেতে পারে। 


যা অত্যন্ত বহাভহ। করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘ লক ডাউন চলছে তাই জল দূষণ অনেকটা কমে গেছে।কিন্তু এই মাস্ক ই এখন মূলত দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংকটকালীন অবস্থায় মানুষের উচিত আরও সচেতন হওয়া।