• চাঁদে ব্যবহার যোগ্য শৌচালয় তৈরি করতে হবে। 
  • ঘনত্ব হতে হবে ৪.‌২ কিউবিক ফিট ও শব্দ ৬০ ডেসিবেলের উপরে যাবে না
  • প্রথম পুরষ্কার ১৫ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩.১৫ লক্ষ টাকা
শৌচালয় তৈরি করতে পারলেই ১৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার। না না ভুল পড়ছেন না ঠিকই পড়ছেন। কাজ টা কঠিন হলেও করতে পারলেই প্রথম পুরষ্কার ১৫ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩.১৫ লক্ষ টাকা। তবে, এই শৌচালয় পৃথিবিতে নয় চাঁদে বানাতে হবে। কি ভাবছেন মজা করছি নয়। সম্প্রতি এমনই এক প্রতিযোগিতা ছেড়েছে নাসা। ভাবছেন, এ আর এমন কী কাজ!‌ আপাতভাবে সহজ মনে হলেও, কাজটা সহজ নয়।

আমরা জানি, পৃথিবীর মধ্যকর্ষণ শক্তি আছে কিন্তু সেই মধ্যকর্ষণ শক্তি মহাকাশে কাজ করে না। আবার চাঁদে গেলে সেই মধ্যকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ৬ ভাগের ১ ভাগ। এখানে কোনও বস্তুর ওজন ৩০ কেজি হলে চাঁদে সেটা ৫ কেজি হবে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। আর এর জেরেই সমস্যায় পড়তে হয় মহাকাশচারীদের। চাঁদে গিয়ে সমস্যা থেকে বাঁচতে এক নতুন চ্যালেঞ্জের ঘোষণা করেছেন নাসা। তবে, সেই চ্যালেঞ্জ যেকেউ নিতে পারেন। 

চাঁদে ব্যবহারযোগ্য হবে এমন শৌচালয় তৈরি করতে হবে। এরজন্য আপনাকে কিছু পদার্থবিজ্ঞানের কথাও জানিয়েছে নাসা। চাঁদে ব্যবহারযোগ্য বাথরুমের ঘনত্ব হতে হবে ৪.‌২ কিউবিক ফিট ও শব্দ ৬০ ডেসিবেলের উপরে যাবে না। অর্থাৎ শৌচাগারটির আয়তন পৃথিবীর শৌচাগারগুলোতে ব্যবহৃত ভেন্টিলেশন ফ্যানের সমান হতে হবে। পাশাপাশি, টয়লেটে একই সাথে প্রস্রাব এবং মল সংগ্রহ করতে সক্ষম হতে হবে। 

নাসা আরও বলেছে যে টয়লেটের নকশাগুলিতে জল সংরক্ষণ করা উচিত এবং ল্যান্ডারের অভ্যন্তরে একটি পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হতে হবে যা গন্ধ এবং অন্যান্য দূষকবিহীন হবে। নকশা এমন হতে হবে যাতে বমি এবং ডায়রিয়ার সমস্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি। ৫মিনিট বা তাঁর কম সময়ে যেন পরিষ্কার করা যায়।

এরকম বাথরুম তৈরি করতে পারলেই নাসার তরফে প্রথম ব্যক্তিকে ১৫ লক্ষ টাকা ও দ্বিতীয় ব্যক্তিকে ৩.১৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে।