• ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা
  • ১০০-র বেশি পেটেন্ট ফাইল
  • সরাসরি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা
  • করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2-কেও এই মাস্ক ৯৯.৯৯ শতাংশ আটকানোর ক্ষমতা রাখে বলে দাবি এই সংস্থার
  • মাস্কের মূল্য ১৪৯০ থেকে ১৯৯০ টাকা


করোনার দাপট সারা বিশ্ব জুড়ে। করোনার কোপে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার আবিষ্কারের চেষ্টা চালালেও এখনও ভ্যাকসিন নিয়ে ততটা ভালো ভাবে কেউ জানাতে পারেনি। আপাতত এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মাস্ক হয়ে উঠেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। পাশাপাশি মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্বের বিধি ও হাত হাইজিন করা। 

এই পরিস্থিতিতে মাস্কের ব্যবহারের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুইস হাইজিন সংস্থা Livinguard Technologies বাজারে নিয়ে এসেছে এক নতুন ধরণের মাস্ক ৷ যা সরাসরি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে ৷ নভেল করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2-কেও এই মাস্ক ৯৯.৯৯ শতাংশ আটকানোর ক্ষমতা রাখে বলে দাবি এই সংস্থার ৷ জানা গেছে, ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা এবং ১০০-র বেশি পেটেন্ট ফাইল করার পর এই ধরনের মাস্ক নিয়ে আসছে এই সংস্থা। 

লিভিংগার্ড মাস্ক ৩০ বার ধোয়া সম্ভব এর প্রতিরক্ষামূলক উপাদানের কার্যকারিতার কোনেও ক্ষতি না করে। যদি প্রতিদিন ব্যবহার করে সপ্তাহে একবার ধোয়া হলেও এই মাস্ক ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ সিঙ্গল-ইউজ মাস্কের প্রয়োজনীয়তা কার্যকরীভাবে রিপ্লেস করে এটি। মাস্কটি গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা ব্যবহার করছেন। এই মাস্কের মূল্য ১৪৯০ থেকে ১৯৯০ টাকা৷

লিভিংগার্ড টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সঞ্জীব স্বামী বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, অতিমারি চলাকালীন প্রতি মাসে প্রয়োজন হবে ৮৯ মিলিয়ন মাস্ক। দৈনন্দিন জীবনযাপন উন্নততর করা সবসময়ে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের মিশন হল আধুনিক পৃথিবীর জন্য মানানসই স্বাস্থ্যবিধি প্রদান করা, এটাই হল সেই কারণ যার জন্য আমরা আমাদের পরীক্ষা করেছি এফইউ বার্লিনে, যারা তাদের সর্বোচ্চ মানের জন্য সুপরিচিত, এবং ভারতে লিভিংগার্ড মাস্ক প্রবর্তন করতে পেরে আমরা সম্মানিত। এ দেশে প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, এই সমস্যার একটি উত্তর খোঁজা অত্যন্ত জরুরি। লিভিংগার্ড মাস্কের অনন্য চরিত্র ইউজারকে দেয় নিরাপত্তার অভূতপূর্ব স্তর। মধ্যপ্রাচ্যে ফাইন হাইজেনিং হোল্ডিং আমাদের অন্যতম বৃহত্তম ইউজার ৷ এর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, জাপান, জার্মানি ও চীনে রয়েছে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। আমি নিশ্চিত যে ভারতেও আমরা একইরকম সাফল্য পাব।’