ভারতে যেভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে বিরোধী দলগুলির অনেক নেতাই ভারতে করোনা টেস্টের সংখ্যা পর্যাপ্ত হচ্ছে না বলে সরব হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হলেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিভ হাংকি ।
জনসংখ্যার বিচারে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। তার মানে এখানে কোভিড-১৯ টেস্ট পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এমনটাই মনে করেন এই অধ্যাপক। তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত হল ‘পচা আপেল’।
স্টিভ হাংকি বলেন- প্রতিদিন দেশের করোনা আক্রান্তের যে তালিকা ভারত প্রকাশ করছে তা নিদারুণ সন্দেহজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে একটি গ্রাফও শেয়ার করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেশের করোনা আক্রান্তের তথ্য প্রকাশের বিচারে যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে পচা আপেলের তালিকায় পড়েছে ভারত। কারণ এদেশের সংক্রামিতর তুলনায় প্রকাশিত সংখ্যা অনেকটাই কম।
এই 'পচা আপেলে'র তালিকাভুক্ত দেশগুলি হল যথাক্রমে-
ভেনেজুয়েলা,
ইজিপ্ট,
সিরিয়া,
ইয়েমেন,
তুরস্ক,
চিন,
ভিয়েতনাম।
প্রসঙ্গত ভারত ও তুরস্ক এই দুই গণতান্ত্রিক দেশ জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকাভুক্ত। ভারত করোনা সংক্রমণ রুখতে তেমন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এমনটাই বলেছেন অধ্যাপক স্টিভ হ্যাংকি।
credit: livemint |
গত এপ্রিলেও এনিয়ে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি বলেন, ইচ্ছে করেই ভারতে করোনা টেস্ট কম করানো হচ্ছে। গত ৯ এপ্রিলে ভারতে করোনা টেস্টের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তা শেয়ার করেছেন তিনি। এখানে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যার বিচারে যা টেস্ট হচ্ছে তা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে ইটালির মতো সীমাহীন ভয়াবহতায় পৌঁছে যাবে ভারত।
credit: livemint |
জুন মাসের প্রত্যেক দিনই ৮ থেকে ১০ হাজার করে নতুন সংক্রমণের খবর আসছে৷ প্রথম পর্বেই লকডাউন করা হলেও কোনও ভাবেই কোভিড ১৯ -র মারণ সংক্রমণ কমার লক্ষন দেখা যাচ্ছে না ৷ যদিও ভারতে এই মুহূর্তে টেস্টিংও প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ রোজ এক লক্ষের বেশি পরীক্ষা হচ্ছে ৷ এই পর্যন্ত ভারতে ৫০ লক্ষ টেস্ট হয়ে গেছে ৷ ভারতে সংক্রামিত হয়েছেন ২.৬৭ লক্ষ লোক ৷ আর সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৫০ জনের ৷
Social Plugin